নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠলেও আবারো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বর্তমান মেয়র এম মনজুর আলম।
Published : 19 Jun 2014, 09:01 PM
তবে এজন্য দরকার দলের ‘সম্মতি’, যা পেতে এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও মেয়র এরই মধ্যে নগরীর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন, বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মধ্যে ব্যস্ত সময় কাটছে তার।
তবে এসব তৎপরতা নির্বাচনকে সামনে রেখে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
পুনরায় নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগ্রহের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান মেয়র মনজুর।
“আমি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের মানুষের জন্য কাজ করেছি, করছি। মেয়র হওয়ার আগেও আমি ধারাবাহিকভাবে সামাজিক কাজ করেছি। চট্টগ্রামের মানুষও আমাকে চায়। আমারও ইচ্ছা আছে।
“তবে এটি আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। সবাই চাইলেই আমি আবার নির্বাচন করব।”
৫৬ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়া মনজুরের বিরুদ্ধে নির্বাচনের চার বছর পর প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। নগরীর জলাবদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা, যানজট নিরসনে ব্যর্থতা ও সিসিসির চালু থাকা আয়বর্ধক প্রকল্প বন্ধ করে সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি বরাদ্দের অপ্রতুলতার অভিযোগ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে করলেও সরকারের কাছে এ নিয়ে সরব নন বলে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে।
তিনি বলেন, “মেয়র হিসেবে বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করেছি গত চার বছরে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কাজ করে যাচ্ছি। এখন যা হয়, তা জলাবদ্ধতা নয় ‘জলজট’। পানি উঠলেই কিছু সময় পর তা নেমে যায়।
অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে মেয়রের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা রয়েছে খোদ তার দলের নেতাদের মধ্যেই ক্ষোভ রয়েছে।
তবে নিজেকে একটি দলের প্রতিনিধি উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনজুর আলম বলেন, “দল এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মতি পেলে আমি অবশ্যই মেয়র পদে আবারও নির্বাচন করব।”
২০১০ সালের ১৭ জুন সিসিসির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হন মনজুর আলম। সেবার তার রাজনৈতিক গুরু মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ৯৫ হাজার ৫২৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি। ওই বছরের ১৯ জুলাই মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
এক সময় আওয়ামী লীগ থেকে পরপর তিনবারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনজুর আলম গত সিসিসি নির্বাচনের আগেই বিএনপিতে যোগ দেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রায় একবছর বাকি থাকলেও আগ্রহী প্রার্থীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনও মেয়র পদে নির্বাচনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।