সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ‘থোক বরাদ্দ’ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে আওয়ামী ওলামা লীগ।
Published : 03 Jun 2016, 07:29 PM
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি ‘শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য’ বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দাবি করে বিষয়টিকে ‘সাম্প্রদায়িকতার চর্চা’ আখ্যায়িত করেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সার্বজনীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
‘ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি’ মন্তব্য করে মুহিত মন্দির মেরামত ও সংস্কার এবং নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের তীর্থস্থানের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
ওলামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ‘ধর্মীয় বৈষম্য’ করা হয়েছে। শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ রেখে ‘ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার মূলে কুঠারাঘাত’ করা হয়েছে।
“এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করা হয়েছে। এমন একটি সাম্প্রদায়িক বিষয়ে সংসদে কীভাবে আলোচিত হলো তা বোধগম্য নয়।”
অর্থমন্ত্রী কীভাবে এমন বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন সেই প্রশ্ন তুলে বিবৃতিতে বলা হয়, “অতীতেও দেখা গেছে আনুপাতিক হারে ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের জন্য ইসলামী অনুষঙ্গের জন্য যে বরাদ্দ পায় আনুপাতিক হারে ২ জনেরও কম হিন্দু তার চেয়ে অনেক বেশি বরাদ্দ পায়। আগে থেকেই মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।”
ওলামা লীগ স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন নয় বলে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ দাবি করে এলেও সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলের নেতাদের অংশগ্রহণ দেখা যায়। তেমনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায় সংগঠনটির ব্যানারসহ উপস্থিতি।
হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী বিভিন্ন সংগঠনের সমরূপ দাবি তুলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতারও সমালোচনার মধ্যে রয়েছে ওলামা লীগ। নিজেদের কোন্দলে রাজপথে মারামারি নিয়েও সমালোচিত সংগঠনটি।
‘এবারের বাজেটে নগ্নভাবে হিন্দুদেরকে বিশেষ তোষণ করা হয়েছে’ দাবি করে ওলামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, এটি বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনা ধর্মনিরপেক্ষতার খেলাপ। যার দ্বারা মুসলমানদের ধর্মীয়ভাবে বিশেষ বৈষম্য করা হলো।
ওলামা লীগের সভাপতি মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, কার্যকরী সভাপতি মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার প্রমুখ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।