ধানমণ্ডি সাত মসজিদ রোডের নতুন রেস্তোরাঁর তালিকায় নতুন আরও কয়েকটি নতুন নাম গুহা-দ্য কেইভ কিচেন, দ্য ডার্ক, ওরেগানো, রানা কাবাব ও হ্যাংআউট।
গুহা- দ্য কেইভ কিচেন: সাত মসজিদ রোডে কাকলি স্কুলের ঠিক উল্টোপাশে র্যাংগস কেবি স্কয়্যার ভবনের নবম তলায় এই রেস্তোরাঁ। যাত্রা শুরু করেছে ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে। যেমনটা নাম শুনে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষেই পুরোপুরি একটি গুহার আদলেই তৈরি হয়েছে রেস্তোরাঁটি। অবশ্য চেয়ার টেবিল, থালা-বাসন পাথরের নয়।
ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া চার বন্ধু মিলে তৈরি করে এই রেস্তোরাঁ। আর সাধারণ ঘরকে গুহায় রূপান্তর করেছেন এই চার বন্ধুর একজনের স্থাপতি বাবা, জানালেন অন্যতম কর্ণধার রাহাতুল ইসলাম।
এছাড়াও প্রতি শুক্রবার আছে ‘লাইভ মিউজিক’।
খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বসার ব্যবস্থা আছে ৬০ জনের। ওয়াইফাই আছে।
দ্য ডার্ক: ডিসেম্বর ২০১৫ সালে চালু হয়েছে এই রেস্তোরাঁ। পুরো নাম দ্য ডার্ক, মিউজিক ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। ভেতরের সাউন্ড সিস্টেমে সবসময় গান বাজানো হয বলেই মিউজিক ক্যাফে নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, জানালেন রেস্তোরাঁর মালিক মোহাম্মদ সুজন খান।
যদিও সেখানে ‘লাইভ মিউজিক’য়ের কোনো কারবার নেই।
“মাল্টি কুইজিন ধাচের রেস্তোরাঁ। তবে সবচাইতে জনপ্রিয় সেট মেন্যুগুলো। আটটি সেট মেন্যুর প্রতিটির দাম ২৬৫ থেকে ৭শ’ টাকা।” বললেন সুজন।
খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বসার ব্যবস্থা আছে ১২০ জনের। ওয়াইফাই আছে।
অরেগানো: সাত মসজিদ রোডের সম্ভবত একমাত্র সামুদ্রিক খাবারের রেস্তোরাঁ। অন্যতম কর্ণধার তানভির আহমেদ নাবিল বলেন, “ইউরোপিয়ান কুইজিন আর চারটি সামুদ্রিক খাবার নিয়ে জানুয়ারি ২০১৬-তে যাত্রা শুরু করেছিলাম। পরে সামুদ্রিক খাবারে বেশি সাড়া পাওয়ার কারণে সেদিকেই জোর দেই বেশি।”
আরও বলেন, “দুপুর ও রাতে ক্রেতা বেশি আসে। তবে আমাদের রেস্তোরাঁয় পরিবার ও যুগল ক্রেতা বেশি। সামুদ্রিক খাবারের তালিকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে গ্রিলড সিফুড প্ল্যাটার।”
এছাড়াও আছে সিরলোইন ও মেডালইন স্টেক, মাসলস বা শামুকের প্ল্যাটার, পাস্তা ইত্যাদি।
খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বসার ব্যবস্থা আছে ৪২ জনের। ওয়াইফাই আছে।
ছবি: আব্দুল মান্নান।