ধানমণ্ডির নয়া রেস্তোরাঁ পর্ব ৩

রাজধানীর সাত মসজিদ সড়ক ক্রমেই পরিণত হচ্ছে ‘ফুডস্ট্রিট’য়ে। নতুন রেস্তোরা তো আছেই, অন্যান্য এলাকার রেস্তোরাঁগুলোও শাখা খুলছে এই এলাকায়।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2016, 11:17 AM
Updated : 23 March 2016, 11:17 AM

গত এক বছরে সাত মসজিদ রোড়ে শাখা খুলেছে ফুড রিপাবলিক, হান্ডি, আল ফ্রেসকো ও কমিক ক্যাফে।

নতুন রেস্তোরাঁর মধ্যে তিনটি রেস্তোরাঁ হল ডি ক্যাফে, ট্রায়াঙ্গেল ক্যাফে ও নোম্যাডস।

ডি-ক্যাফে: গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চালু হয়েছিল ডি-ক্যাফে। ষাটের দশকের হাইওয়ে স্যালন রেস্তোরাঁর আদলে তৈরি এই রেস্তোরাঁ। মালিকদের মডিফাইড ক্যাফে, রেসার মোটরসাইকেলের প্রতি ভালোলাগার ছাপ চোখে পড়বে রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জার প্রতি ভাঁজে। এমনকি রেস্তোরাঁর মূল ফটক দিয়ে ঢুকেই চোখে পড়বে একটি ৬০০ সিসি-র মডিফাইড ‘হোন্ডা’ মোটর সাইকেল।

ডি ক্যাফের অন্যতম কর্ণধার ও রন্ধনশিল্পী সায়মন গোমেজ বলেন, “রেস্তোরাঁর প্রায় প্রতিটি খাবারেই আমার নিজস্ব রেসেপিতে তৈরি হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি গর্ব বোধ করি চায়ের উপর।”

প্রায় ২০ বছর ধরে রন্ধনশৈলীর সঙ্গে জড়িত সায়মন গোমেজ। শুরু করেছিলেন রাজধানীর পর্যটন থেকে রান্নার উপর কোর্স করে, কাজ করেছেন দেশ-বিদেশের কয়েকটি রেস্তোরাঁয়।

চায়ের পর রেস্তোরাঁর সবচাইতে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে আছে ২শ’ টাকার সিজলিং প্ল্যাটার, ১৯০ টাকায় বোম্বে বিয়িয়ানি, ২১৫ টাকায় কাজাকি বিরিয়ানি, ১৯০ টাকায় চিকেন ফ্রাইড রাইস ইত্যাদি। চায়ের বর্তমান মূল্য ভ্যাটসহ ৫০ টাকা। জনপ্রিয়তার তালিকায় আছে চাওমিন ও পটেটো ওয়েজেস।

রেস্তোরাঁ খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা। বসার ব্যবস্থা আছে ৭৫ জনের। ওয়াইফাই আছে।

নোম্যাডস।

নোম্যাডস:
‘অথেনটিক’ থাই, মালোয় আর মঙ্গোলিয়ান খাবারের স্বাদ দেওয়ার দাবি করছে নোম্যাডস। ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে প্রথমেই দেওয়া হয় স্ট্রবেরি লাইম কোলা।

রেস্তোরাঁর খাবারের মেন্যু বেশ বড়। অ্যাপেটাইজার, সুপ, সালাদ, মঙ্গোলিয়ান গ্রিল, স্টিয়র ফ্রাইড, মালোয়, বিফ, চিকেন, হাঁস, সিফুড ও ফিস এই ১১টি অংশে ভাগ করা হয়েছে মেন্যু।

জেষ্ঠ্য খাবার পরিবেশক মোহাম্মদ রতন সরকার বলেন, খাবারের মধ্যে সবচাইতে বেশি চলে মঙ্গোলিয়ান গ্রিল প্ল্যাটার, দাম ৬শ’ টাকা। মাছের মধ্যে আছে রেড স্ন্যাপার ও ম্যাকারেল মাছ। অ্যাপেটাইজারের মধ্যে জনপ্রিয় ডিম সাম, দাম ৪শ’ টাকা। রেস্তোরাঁর একটি বিশেষ আকর্ষণ কুলফি। পাকিস্তানি লাউরি কুলফির রেসিপিতে তৈরি এই কুলফিতে থাকে দুধ, বাদাম, এলাচি ও চিনি। দাম ২৪০ টাকা।  

খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বসার ব্যবস্থা আছে ৫০ জনের। ওয়াইফাই আছে।

ট্রায়াঙ্গেল ক্যাফে।

ট্রায়াঙ্গেল ক্যাফে:
ধানমণ্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের উল্টা দিকে ৩/এ রোডের শেষ প্রান্তে লেকের পাশে এই রেস্তোরাঁ। ত্রিভুজাকৃতির হওয়ার কারণেই ট্রায়াঙ্গেল নাম দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান হাবীব।

হাসান হাবীব আরও বলেন, “রেস্তোরাঁটি মাল্টি কুইজিন ধাঁচের। পাওয়া যাবে কাবাব, পাস্তা, নুডুলস, নাচোস, বার্গার, চিকেন স্টেক ইত্যাদি। সিগনেচার ডিশের মধ্যে আছে চিকেন বার-বি-কিউ মিল, বার-বি-কিউ উইঙ্গস মিল, বিফ সিজলিং মিল ও চিকেন সিজলিং মিল। প্রতিটির দাম ৩শ’ টাকা। এছাড়াও আছে ট্রায়াঙ্গেল বার-বি-কিউ প্ল্যাটার ও ট্রায়াঙ্গেল রাইস অ্যান্ড গ্রেভি প্ল্যাটার নামক দুটি প্ল্যাটার। দুজনের এই প্ল্যাটরগুলোর দাম ভ্যাটসহ যথাক্রমে ৫২৫ ও ৬শ’ টাকা। ক্রেতা জনপ্রিয়তার শীর্ষে বার-কি-কিউ কম্বো মিল। ছয় ধরনের কম্বো মিলগুলোর প্রতিটির দাম ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা।”

পানীয়ের মধ্যে জনপ্রিয় লেমন চিলারস ও লেমন মিন্ট চিলারস। দাম ১শ’ টাকার মধ্যে। এছাড়াও কফি, চা, ফলের জুসও পাওয়া যায়।

বসার ব্যবস্থা আছে ৩০ জনের। খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। ওয়াইফাই আছে।

ছবি: আব্দুল মান্নান।