প্রথমবারের মতো একসঙ্গে পারফর্ম করলেন ভারতীয় কৌতুকভিত্তিক রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্সের বাংলাদেশি তারকা আবু হেনা রনি, জামিল হোসেন, ইশতিয়াক নাসের, আনোয়ারুল আলম সজল, ফারজানা সগীর শশী।
Published : 07 Sep 2014, 05:02 PM
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি)আয়োজনে হাসিতে মুখর এক সন্ধ্যা উপহার দিলেন তারা।
মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্সের সিজন ছয়ের প্রতিযোগী জামিল হোসেন গ্লিটজকে বলেন, “বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রামে দুজন বা তিনজন মিলে আমরা পারফর্ম করলেও পাঁচজন এ প্রথমবারই একসঙ্গে পারফর্ম করছি। এর আগে কখনও আমরা একসঙ্গে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি করিনি।”
প্রথমেই মঞ্চে আসেন মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্সের সিজন পাঁচের সেকেন্ড রানার আপ ফারজানা সগীর শশি। ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ শিরোনামের লালনগীতি দিয়ে শুরু করেন শশী। শশীর কৌতুক চরিত্র করিম চাচা ও তার পরিবার। ইঁচড়ে পাকা ছেলে আর তার বাবার অসহায়ত্ব নিয়ে পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় শশী পর্ব। শশীর পরিবেশনার দ্বিতীয় পর্বে হাজির হন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুলের প্রেম, দাম্পত্য জীবনের নানা মুহূর্ত ফুটে উঠেছে তার কৌতুকে।
শুধু কৌতুক নয়, সংগীতেও বেশ দক্ষ হয়ে উঠছেন সিজন ছয়ের প্রতিযোগী জামিল হোসেন। শুরুতেই উঠতি শিল্পীদের বেসুরো গান গাওয়ার ব্যাপারটিকে কটাক্ষ করেন জামিল।
সিজন ছয়ের চ্যাম্পিয়ন আবু হেনা রনির ‘দুলাভাই’ চরিত্রটি মীরাক্কেলে ইতিহাস হয়েই থাকবে। দর্শকের অনুরোধে রনিও হাজির হন ‘দুলাভাই’ এর বেশে। শালিকার রুমাল পেয়ে দুলাভাইয়ের উত্তর ‘বউরে ভুইল্যা যাইতে পারি, কিন্তু তোমারে না।”
মীরাক্কেল পরবর্তী সময়ে নিজেদের হাল হকিকতও জানিয়ে দিলেন কৌতুকের মাধ্যমে। খ্যাতি পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু নিজস্ব বাহন কেনার টাকা নেই। ‘পুরনো হেলমেট’ কিনে লোকাল বাসে চড়ে উৎসুক জনতার হাত থেকে ‘রক্ষা’ পেতে হচ্ছে তাকে।
মীরাক্কেলের তারকাদের আশা, দেশে কৌতুকাভিনেতাদের আলাদা কদর দেবে দর্শক। তাদের অভিনয়ের আলাদা দর্শক তৈরি হবে।
ছবি-- তানজিল আহমেদ জনি