চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাধারণ ও সংরক্ষিত পাঁচটি ওয়ার্ডে সদস্য পদে মাত্র একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
Published : 01 Dec 2016, 08:56 PM
জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিয়মানুসারে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার ছিল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
এদিন চেয়ারম্যান পদে দুই জন এবং সদস্য পদে মোট ৭৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। সদস্য পদে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৮ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ১৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে ১, ৭, ৮, ১২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র একজন করে প্রার্থী সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চারটি সাধারণ ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শুধু একজন করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
“১১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। ১২ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। যদি তারা বাছাইয়ে থাকেন তাহলে প্রতীক বরাদ্দের পরই তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।”
এরা হলেন- ১ নম্বর (মিরসরাই-বারৈয়ারহাট) ওয়ার্ডের শেখ আহমদ, ৭ নম্বর (রাউজান) ওয়ার্ডের কাজী আব্দুল ওহাব, ৮ নম্বর (রাঙ্গুনিয়া) ওয়ার্ডের কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ১২ নম্বর (আনোয়ারা-বাঁশখালী আংশিক) ওয়ার্ডের এস এম আলমগীর এবং সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দিলুয়ারা ইউসুফ।
বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সালাম এবং বিএনএফ প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এর আগে বুধবার জেলা পরিষদের প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের কাছে মনোনয়ন জমা দেন এম এ সালাম।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনসহ উত্তর জেলার নেতারা।
মনোনয়ন বাছাই করা হবে ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনে অংশ নিতে ২ নম্বর (সীতাকুণ্ড-মিরসরাই আংশিক) ওয়ার্ডে চারজন, ৩ নম্বর (সন্দ্বীপ) ওয়ার্ডে সাতজন, ৪ নম্বর (নগর ও হাটহাজারী আংশিক) ওয়ার্ডে সাতজন, ৫ নম্বর (হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি আংশিক) ওয়ার্ডে পাঁচজন, ৬ নম্বর (ফটিকছড়ি) ওয়ার্ডে ছয়জন, ৯ নম্বর (বোয়ালখালী-পটিয়া আংশিক) ওয়ার্ডে চারজন, ১০ নম্বর (পটিয়া) ওয়ার্ডে চারজন, ১১ নম্বর (চন্দনাইশ-পটিয়া আংশিক) ওয়ার্ডে চারজন, ১৩ নম্বর (বাঁশখালী) ওয়ার্ডে ছয়জন, ১৪ নম্বর (সাতকানিয়া) ওয়ার্ডে পাঁচজন এবং ১৫ নম্বর (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) ওয়ার্ডে দুই জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলার সব পৌরসভা ও ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরশন এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডকে নিয়ে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে।
এসব ওয়ার্ডের প্রতিটি থেকে একজন করে মোট ২০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনে ভোট দেবেন চট্টগ্রাম জেলার সবগুলোর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের হিসেব মতে মোট ভোটার দুই হাজার ৩৮৫ জন। মেয়াদোত্তীর্ণ এবং নির্বাচন স্থগিত হয়েছে এমন পৌরসভা ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।