ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজকে ‘হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার অনুসারীরা।
Published : 23 Nov 2016, 11:28 AM
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ফতেয়াবাদ স্টেশনের কাছে নন্দীরহাট এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাটল ট্রেন আটকে দেয় হয় বলে ষোলশহরের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান।
“ষোলশহর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিট পর ফতেয়াবাদ স্টেশনের কাছে ট্রেনটি আটকে দেওয়া হয়। এরপর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।”
চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে প্রতিদিন সাত জোড়া শাটল ও এক জোড়া ডেমু ট্রেন চলাচল করে।
এর আগে সোমবার সকালেও বিশ্ববিদ্যালয়গামী ডেমু ট্রেন আটকে ভাংচুর চালায় দিয়াজের বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা। তাদের ভাষ্য, হত্যার পর দিয়াজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও পাল্টে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।
রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকার বাসা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের দাবি, দিয়াজ ‘আত্মহত্যা করার মত’ ছেলে নন। শত্রুতার জেরে কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন ও শেখ হাসিনা হলের দ্বিতীয় অংশের নির্মাণ কাজের টেন্ডার নিয়ে দিয়াজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীদের বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ করা দিয়াজ ও আলমগীর টিপু দুজনই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।