মাত্র এক দিনের অনুশীলনে দলের পারফরম্যান্সে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানেই দেখা গেছে অন্য বাংলাদেশকে; দারুণ বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং করে স্বাগতিকরা পেয়েছে অসাধারণ এক জয়। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে লম্বা সময় ধরে কথা বলাটাই বেশি কাজে লেগেছে।
Published : 13 Jul 2015, 12:57 AM
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৮ উইকেটে প্রথম ম্যাচে হারার পর মাশরাফি জানিয়েছিলেন, এক দিনের অনুশীলনে বড় কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। পরিবর্তন আনতে হবে মানসিকতায়। সেই পরিবর্তনের আশায় শনিবার অনুশীলনের আগে নিজেদের মধ্যে লম্বা সময় ধরে আলোচনা করেন ক্রিকেটাররা।
ম্যাচের আগের দিন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অনুশীলন করলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের মধ্যে কথা বলার সুফল ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার ৭ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর সেই কথাই বললেন মাশরাফি।
“আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক কথা বলেছি, যেটা অনুশীলন থেকেও জরুরি ছিল। আলোচনা করেছি, কথা বলেছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। কিভাবে শুরু করব, শেষ করব, কিভাবে বড় ইনিংস খেলব, সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি।”
ক্রিকেটারদের আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ব্যাটিং। ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলেন ব্যাটসম্যানরা। আস্থা ফেরাতে আর স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে ৮ ব্যাটসম্যান নিয়েও প্রথম ম্যাচে ১৬০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
“ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা চিন্তা অবশ্যই ছিল। দুইটা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি।”
সেই আলোচনার সুফলটা দারুণভাবেই পেয়েছে বাংলাদেশ। গত কয়েক ম্যাচে থিতু হয়েই আউট হয়ে যাওয়া সৌম্য সরকার ম্যাচ শেষ করে ফিরেছেন এবার। জুটি গড়ার ব্যর্থতা কাটিয়ে মাহমুদউল্লাকে নিয়ে সিরিজে প্রথমবারের মতো শতরানের জুটি উপহার দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে অধিনায়কের প্রশংসা পেলেন ব্যাটসম্যানরা, “আজ সৌম্য ম্যাচ শেষ করেছে। সেটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ চোট থেকে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করেছে। সেটা খুব কঠিন ছিল। কারণ, আঙুলের চোটের পর ফিরেই স্বাভাবিক ছন্দে খেলা খুবই কঠিন। এটা বাইরে থেকে দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।”