ব্যাটিংয়ে যেটির প্রতিফলন পড়েছে, সেটি মেনে নিতেও দ্বিধা করলেন না ইমরুল কায়েস। জানালেন, ইনিংসের শুরুতে স্নায়ুর চাপ তাকে পেয়ে বসেছিল। তবে হার মানেননি, লড়াই করেছেন। চাপের সময়টুকু জয় করেছেন প্রতিজ্ঞায়। তাই জিতেছেন নিজে, জিতিয়েছেন দলকে।
Published : 22 Oct 2018, 01:03 AM
ইমরুলের ১৪০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস যে ভিত গড়েছিল, সেটি ওপর দাঁড়িয়েই প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে রান-বলের সংখ্যায় যে দাপট ফুটে ওঠে, শুরুতে অতটা স্বচ্ছন্দ ছিল না ইমরুলের ব্যাট। ৭ রানে জীবন পেয়েছেন, ছন্দ খুঁজে পেতেও সময় নিয়েছেন।
আরেক পাশে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়েছিল দল। সেটিও বাড়িয়েছিল চাপ। তবে সেই চাপে ভেঙে পড়েননি ইমরুল। ম্যাচ শেষে জানালেন, মনে শঙ্কা জাগলেও পরে সেটি কেটে গেছে।
“আসলে আজকের ইনিংসটিতে শুরুতে একটু নার্ভাস লাগছিল। একটু চাপ নিলে ঘাম হয় প্রচুর। ঘামলে ক্র্যাম্প হওয়ার শঙ্কা থাকে। একটা সময় যখন ভালো বোধ করতে শুরু করলাম, তার পর আর ঘাম হয়নি বেশি। একটি গ্লাভস পরেই ইনিংস শেষ করেছি, বদলাতে হয়নি। চাপটা পরে আর অনুভব করিনি।”
শুরুতে উইকেটও যথেষ্ট ভোগাচ্ছিল ইমরুলকে। ম্যাচের আগের দিন মিরপুরের উইকেটের যে অননুমেয় চরিত্রের কথা বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, সেটি এ দিন ফুটে উঠেছিল স্পষ্ট হয়ে। তবে দলের প্রয়োজনের কথা ভেবেই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে হেছেন ইমরুল। তার চাওয়া ছিল শেষ পর্যন্ত লড়াই করা।
“আজকের পরিস্থিতি এরকম ছিল যে আমি না খেললে কঠিন হয়ে যেত আমাদের জন্য। এজন্য আমি চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত খেলতে। রান কত হবে এটা পরের ব্যাপার। একটা পর্যায়ে খুব ভালো বোধ করছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমার যেদিকে ইচ্ছা মারতে পারব, ইচ্ছামতো খেলতে পারব। ওটাই হয়েছে। নিজের কাছে ভালো লাগছিল বলে যেদিকে ইচ্ছা মারতে পেরেছি।”
“শুরুতে একটা সময়ে লড়াই করতে হয়েছে। ড্রাইভ খেলা যাচ্ছিল না, যে কোনো সময় বল লাফ দিচ্ছিল। আমি যখনই ভাবছিলাম যে স্ট্রোক খেলব, তখনই উইকেট পড়ছিল। তখন আবার নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিলাম। চেষ্টা করছিলাম শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে। কারণ বুঝতে পারছিলাম ২৪০-২৫০ এখানে ভালো স্কোর। ওভাবেই ব্যাট করে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।”