অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের। ফাইনালে চমৎকার বোলিংয়ের পর দলের খুব প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতেও ত্রাতা এই অলরাউন্ডার। টানা চার ছ্ক্কায় ম্যাচ জেতানো এই পারফরম্যান্সের জন্য তিনি প্রশংসা পেয়েছেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির।
Published : 04 Apr 2016, 12:54 AM
রোববার কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ক্রিস জর্ডানের করা আগের ওভারের শেষ বলে এক রান নিতে চেয়েছিলেন মার্লন স্যামুয়েলস। পারেননি, শেষ ওভারের স্ট্রাইকে থাকেন ২৭ বছর বয়সী ব্র্যাথওয়েট। আগের ছয় বল থেকে ১০ রান নেওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান সম্ভাব্য সবচেয়ে কম বলে দলকে জয় এনে দেবেন ভাবতে পারেননি কেউই।
টানা চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ব্র্যাথওয়েট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা এনে দেওয়ার সময় স্টেডিয়াম জুড়ে অবিশ্বাস। শেষ ওভারে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে এমন জয় এনে দেওয়ায় সম্ভব! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্যামি জানান, এমন কিছুর জন্যই পুরো ম্যাচে তারা শুধুই প্রার্থণা করে গেছেন।
“সত্যিই এই জয়ে আমরা খুব খুশি। এটা এমন কিছু যার জন্য আমরা দীর্ঘ দিন সযত্নে আগলে রাখব।”
অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ম্যাচ সেরা স্যামুয়েলসের সঙ্গে ৪.১ ওভারে ৫৪ রানের জুটি গড়েন ব্র্যাথওয়েট। তাতে এই অলরাউন্ডারের অবদান ১০ বলে ৩৪ রান। স্যামি জানান, তিনি জানতেন কেউ না কেউ ঠিকই এগিয়ে আসবে।
“আমাদের দলে ১৫ জন ম্যাচ উইনার আছে। প্রতি ম্যাচে কেউ না কেউ এগিয়ে এসেছে। আজ যা করেছে কার্লোস, সে ক্যারিবিয়ানদের টি-টোয়েন্টি গভীরতা দেখিয়েছে।”
শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রাতা হয়ে আসার আগে বোলিংয়েও নিজের সামর্থ্যটা দেখান ব্র্যাথওয়েট। ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহটা আরও বড় হতে দেননি তিনি।
২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড প্রতিরোধ গড়ে জো রুট ও জস বাটলারের ব্যাটে। দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরানোর কৃতিত্ব ব্র্যাথওয়েটের। শেষে দ্রুত রান সংগ্রহ করা ডেভিড উইলিও তার শিকার।
ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ তিন রান সংগ্রাহককে ফেরানো ব্র্যাথওয়েট ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেননি। কিন্তু সতীর্থদের প্রশংসায় ঠিকই ভেসেছেন তিনি।