টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে মিঠুন-হায়দার-নুরুল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন দুই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও নুরুল হাসান সোহান এবং পেসার আবু হায়দার রনি।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।

দলে জায়গা হয়নি দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের। তবে অপেক্ষমানদের মধ্যে আছেন ইমরুল। সেখানে তার সঙ্গী শুভাগত হোম চৌধুরী, মুক্তার আলী ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

দলে ফিরেছেন নাসির হোসেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার’ চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন না এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় খেলানোর রেকর্ড গড়ার ওই সিরিজে ছিলেন না উইকেটরক্ষক মিঠুনও। তবে বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক ভালো পারফরম্যান্স তাকে দলে নিয়ে এসেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক।

২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মিঠুনের। ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সেই বছরের অগাস্টে তার দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেন। দুই ম্যাচে এক ইনিংসে ব্যাট করা হয়নি। অন্যটি এক বল খেলে ফিরেন শূন্য রানে।

জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটিংয়ে খুব একটা ভালো করতে না পারা নুরুলের ওপর আস্থা হারাননি নির্বাচকরা। সাবেক অধিনায়ক ফারুক বলেন, “নুরুল আমাদের দেশের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক। তাকে আমরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে নিয়েছি।”

প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়েছেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। তবে অপেক্ষমান তালিকায় আছেন ইমরুল। সেখানে তার সঙ্গী শুভাগত হোম চৌধুরী, মুক্তার আলী ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

চূড়ান্ত দলে পাঁচ পেসারকে রেখেছেন নির্বাচকরা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে আছেন আল আমিন, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার ও তাসকিন আহমেদ।

বিপিএলে মুগ্ধতা ছড়ানো বাঁহাতি পেসার হায়দারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারলেও জায়গা ধরে রেখেছেন এই তরুণ।

প্রাথমিক দলে থাকা শফিউল ইসলাম, আবুল হাসান, মোহাম্মদ শহীদদের জায়গা হয়নি চূড়ান্ত দলে। চোটের জন্য আগে প্রাথমিক দলেই ছিলেন না আরেক পেসার রুবেল হোসেন।

স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি। এছাড়া নাসির, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানকে দিয়েও বল করাতে পারবেন অধিনায়ক।

ভারতে আগামী ৮ মার্চ শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। সুপার টেনের মূল লড়াইয়ে যাওয়ার এই ধাপে মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ওমান। সুপার টেনে যেতে পারলে ‘বি’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হাসান সোহান, মাহমুদউল্লাহ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, আল আমিন হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি।