এবার সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় মিঠুন?

ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের পারফরম্যান্স দারুণ। দেশের দ্বিতীয় সেরা দল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়েও তার পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলেই যেন কী হয়ে যায়। তবে চার আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যর্থ মিঠুনের ওপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2016, 01:15 PM
Updated : 3 Feb 2016, 03:43 PM

প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের বিশ্বাস, সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় সুযোগ পেলে কিছু একটা করে দেখাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
 
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দলে মিঠুন ছাড়াও আরেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানকে রেখেছেন নির্বাচকরা। তাই কেবল বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেই দেখা যেতে পারে মিঠুনকে। 
 
পরীক্ষার-নিরীক্ষার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ছিলেন না মিঠুন। বিপিএলেও নজরকাড়া কোনো পারফরম্যান্স ছিল না তার। তাই ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের বিশ্বকাপ দলে থাকাটা বড় বিস্ময় হয়েই এসেছে। 
 
২০১৪ সালে দেশের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন মিঠুন। একটিতে ব্যাট করেননি, অন্যটিতে ফিরেন এক বল খেলে। দেশের হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ওয়ানডেতে। তবে দুই ম্যাচে ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। 
 
সংবাদ সম্মেলনে মিঠুনের জায়গা পাওয়া নিয়ে কয়েকবারই ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাচককে। 
 

“(জিম্বাবুয়ে সিরিজে) মিঠুন পুরোপুরি ফিট ছিল না। আমরা পরে (বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে) ওকে নিয়েছি। তখন ও খুব ভালো করেছে। সে আমাদের বিবেচনায় ছিল। সে যে মানের খেলোয়াড়, তার পুরোটা আমরা দেখতে পারিনি। যদি সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় সে সুযোগ পায়, তাহলে কিছু করে দেখাতে পারবে। সেই সামর্থ্য তার আছে।”
‘এ’ দলের হয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলে যাওয়া আর খুলনার প্রস্তুতি ক্যাম্পের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে নিয়ে এসেছে মিঠুনকে। 
“আসলে টিম হয় একটা কম্বিনেশন চিন্তা করে। কোথায় কাকে খেলানো হবে তা নিয়ে কোচ-অধিনায়ক আমাদের সাথে কথা বলে। সেই বিবেচনায় তাকে নিয়েছি। সে টপ অর্ডার থেকে যে কোনো জায়গায় খেলতে পারে। পাশাপাশি সে অনেক অভিজ্ঞও।” 
২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে ছিলেন মিঠুন। সেবার কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার।
ফারুক বলেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই কিন্তু প্রথম সুযোগ পেয়েছিল মিঠুন। এবার এই স্টেজে দেখতে চাই সে কেমন করে।”