কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দুরুল হুদা মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার সারা রাত সাগরে তল্লাশি চালানোর পরও নতুন কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ বৈমানিকেরও কোনো সন্ধান মেলেনি।”
সাগর উত্তাল থাকায় তল্লাশিতে সমস্যা হলেও নৌ বাহিনীর জাহাজ অতন্দ্র, মধুমতী ও সুরভী, কোস্টগার্ডের জাহাজ তৌফিক ও তিনটি মেটাল শার্ক বোট এবং বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সোমবার সকালে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তাহমিদের বিমানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এর আধা ঘণ্টা পর বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ছয় মাইল দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত এমভি আলেকজান্ডার থেকে দুর্ঘটনার ওই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন ওই জাহাজের ওয়াচম্যান মো. বাবুল হাওলাদার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন,“তখন ১১টা ২০ মিনিট। বিমানটি পানিতে পড়ার পর দুটি হাত কিছুক্ষণ দেখেছিলাম। পরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এলে তাদের আমি জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছি।”
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা দুরুল হুদা জানান, নৌবাহিনীর জাহাজ সুরভীতে থাকা ‘সাইড স্ক্যান সোনার’ ব্যবহার করে তারা বিমানটির বাকি ধ্বংসাবশেষ খোঁজার চেষ্টা করছেন।
তবে কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি বিমান বাহিনী।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একটি সূত্র জানায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রুম্মন কোনো বিপদের সংকেত তাদের দেননি।
বিধ্বস্ত হওয়ার আগে তিনি নামার চেষ্টা চালিয়েছেন কিংবা তাতে সফল হয়েছেন কি না, সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারার ছেলে তাহমিদ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন ২০১০ সালের ডিসেম্বেরে।তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই বড়। বাড়ি চট্টগ্রামে হলেও তাহমিদের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন।