প্রশিক্ষণ চলাকালে বঙ্গোপসাগরের ব্রাভো অ্যাঙ্করেজে বিধস্ত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ যুদ্ধবিমানের দুটি খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
Published : 29 Jun 2015, 08:16 PM
তবে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নিখোঁজ পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রুম্মন তাহমিদ চৌধুরীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রুম্মন তাহমিদের বাবা আবদুল কাদের চৌধুরী মানিক। তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর এলাকার বাসিন্দা। তবে রুম্মন তাহমিদের পরিবার ঢাকায় থাকেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তাহমিদ সবার বড়।
সোমবার দুপরে বিমানটি বিধস্ত হওয়ার খবর পেয়ে কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করে।
সোমবার কোস্টগার্ডের মেটাল শার্ক বোটে করে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে দেখা যায়, নৌ বাহিনীর অতন্দ্র, মধুমতী ও সুরভী নামের তিনটি জাহাজ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
কোস্টগার্ডের তৌফিক নামের একটি জাহাজ ও তিনটি মেটাল শার্ক বোটও উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে। বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টারকেও উড়তে দেখা গেছে সেখানে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দুরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তল্লাশি চালিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে পাঁচ মাইল পশ্চিমে বিমানের দুটি অংশ বিশেষ আমরা উদ্ধার করেছি।”
এরপর আরেকটু উত্তরে সরে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিমানে শুধু পাইলট তাহমিদই ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে তিনি নামার চেষ্টা চালিয়েছেন কিংবা তাতে সফল হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
“তারা বিমান বন্দর কোথায় জানতে চাইলে আমি সেদিকে দেখাচ্ছিলাম। তখনই বিমানটিকে উড়তে দেখি। এর কিছুক্ষণ পরই আমার চোখের সামনে বিমানটি সাগরে পড়ে যায়। তখন ১১টা ২০ মিনিট।”
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার ফোন নম্বর ছিল বাবুলের কাছে। তিনি বিমান বিধ্বস্ত হতে দেখে ওই কর্মকর্তাকে ঘটনাটি জানান।
বাবুল বলেন, “বিমানটি পানিতে পড়ার পর দুটি হাত কিছুক্ষণ দেখেছিলাম। পরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এলে তাদের আমি জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছি।”
চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর-ই আলম জানান, সকালে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর ১১টা ১০ মিনিট থেকে বিমানটি যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
“এরপর তল্লাশি শুরু হয়। পৌন ১২টার দিকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ছয় মাইল দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।”
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক নূর ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত কমিটি করে কারণ অনুসন্ধান করা হবে।”
আর কোনো তথ্য না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।