ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির রায়ের ২১ মাস পর সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।
Published : 29 Apr 2015, 11:16 AM
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে একাত্তরের আল বদর কমান্ডার মুজাহিদের আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রথম দিন আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এস এম শাজাহান; তার সঙ্গে ছিলেন শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।
সকাল পৌনে ১০টায় শুনানির শুরুতে আদালত মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগগুলো এবং কোন অভিযোগে কী দণ্ড হয়েছে তা জানতে চান।
জবাবে এস এম শাজাহান বলেন, পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল দণ্ড দিয়েছে। এরপর আদালতের নির্দেশে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি।
প্রথম দিনের শুনানি শেষে আদালত আগামী সোমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে দেয়।
এ শুনানির জন্য ২৮ এপ্রিল দিন রাখা হলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ছুটি থাকায় শুনানি শুরু হয় বুধবার।
এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ আপিলের শুনানি শুরু হল।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে সে বছর ১১ অগাস্ট আপিল করেন মুজাহিদ। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করলেও শুনানিতে অংশ নিয়ে দণ্ড বহাল রাখতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।
দুটি ট্রাইব্যুনালে গত পাঁচ বছরে ১৭টি মামলায় রায় হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলার ক্ষেত্রে আপিল হয়েছে।
এর মধ্যে তিনটি মামলায় আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় এসেছে; দণ্ড কার্যকর হয়েছে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের।
আপিল বিভাগের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত না হওয়ায় রিভিউ নিষ্পত্তি হয়নি। বুধবার মুজাহিদের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হলো।
শুনানি চলার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযম ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
বর্তমানে আটটি মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।