চলতি বছর এইচএসসিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা মিললেও তার আগের পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
Published : 26 Jun 2014, 06:16 PM
সংসদে বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করা হয়েছে কি না? কতজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
এর জবাবে ওই উত্তর দেয়ার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছর এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করে পরে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়।
তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ ঘটনার তদন্তে ঢাকা বোর্ড একটি কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
“তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ফরিদপুরে দায়ের করা দুটি মামলায় তিনজন কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান নাহিদ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেতন ও ভর্তি ফির বিষয়ে সরকারের নীতিমালা রয়েছে।
“কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরকারের নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি আদায় করলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার নামে বাণিজ্য বন্ধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি বাস্তব ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।