সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ও সাবেক পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের ‘অবৈধ’ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
Published : 22 Jan 2014, 04:03 PM
এই সঙ্গে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং চার সংসদ সদস্যের ‘অবৈধ’ সম্পদ খুঁজতেও ‘অনুসন্ধান কর্মকর্তা’ নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
তারা হলেন- ঢাকার সংসদ সদস্য আসলামুল হক, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামূল হক ও সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার।
এদের মধ্যে জব্বার জাতীয় পার্টির; বাকি তিনজনই আওয়ামী লীগের টিকিটে নবম সংসদে থাকার পর দশম সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচিত হয়েছেন।
রুহুল হক এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিত্ব পাননি। অন্যদিকে মান্নান খান নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ঢাকা-১ আসনে হেরেছেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে।
প্রণব ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই সাতজনের সম্পদের হিসাব অনুসন্ধান করতে প্রত্যেকের জন্য একজন করে মোট সাত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
“অনুসন্ধান কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যেই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। আজ (বুধবার) থেকেই অনুসন্ধান শুরু করবেন তারা।”
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হকের সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পড়েছে দুদকের উপ-পরিচালক মির্জ্জা জাহিদুল আলমের ওপর। আব্দুল মান্নান খানের সম্পদ অনুসন্ধান করবেন উপ-পরিচালক শেখ নাসির উদ্দিন।
উপ-পরিচালক খায়রুল হুদার ওপর দায়িত্ব সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পটুয়াখালীর মাহবুবুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানের।
ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুলের সম্পদের অনুসন্ধান করবেন উপ-পরিচালক শেখ ফয়েজ আলম। কক্সবাজার- ৪ এর সংসদ সদস্য রহমান বদির সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্ব উপ-পরিচালক আহসান আলীর।
এনামুল হকের সম্পদ অনুসন্ধান করবেন উপপরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক। জব্বারের সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিগত মহাজোট সরকারের সময়ের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলে নেয় দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “দুদকের এই অনুসন্ধান কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য থাকবে অভিযুক্ত মন্ত্রী –সংসদ সদস্যরা কোনো সম্পদ গোপন করেছেন কি না, তা খুঁজে বের করা।”