ইতালীয় চেজারে তাভেল্লা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে তিন জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
Published : 26 Oct 2015, 03:31 PM
সোমবার পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি করে প্রত্যেকের জন্য আটদিন করে হেফাজত মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান।
এই তিনজন হলেন- রাসেল চৌধুরী ওরফে চাকতি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ওরফে কালা রাসেল এবং শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফ।
রিমান্ড শুনানিতে এই তিনজনকে ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন। তবে আসামিপক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত পুলিশের কর্মকর্তা মিরাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন ওই তিন জনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চান।
“বিচারক শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের প্রত্যেককে আটদিন করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেন।”
গ্রেপ্তারদের মধ্যে তামজিদ আহম্মেদ রুবেল ওরফে শ্যুটার রুবেল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি বলে জানান মিরাশ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের কক্ষে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জবানবন্দি নেওয়ার পর রুবেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের সড়কে তাভেল্লাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা পালিয়ে যায় মোটর সাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা।
আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন ইতালির এই নাগরিক, ঢাকায় তিনি একাই থাকতেন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে একটি মোটরসাইকেলসহ ওই চার জনকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার জানানো হয়।
পুলিশ বলছে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য ‘বাংলাদেশে বিদেশিরা নিরাপদ নয়’ বোঝাতে ‘কোনো একজন শ্বেতাঙ্গকে’ হত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে খুন করা হয়।
কথিত এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে ‘নির্দিষ্ট টাকার চুক্তিতে’ দুই রাসেল ও রুবেল এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় এবং এই কাজে তারা শরীফের মোটরসাইকেল ব্যবহার করে বলে পুলিশের দাবি।