এক শিশুকে গুলির মামলার আসামি সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করার পর তার নিজের এলাকা গাইবান্ধায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Published : 15 Oct 2015, 09:02 AM
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এক আত্মীয়র বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর এমপি লিটনকে রাতে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে পুলিশের একটি দল মাইক্রোবাসে করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লিটনকে নিয়ে গাইবান্ধায় পৌঁছায়।
সেখানে এই সংসদ সদস্যকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “এখান থেকে আজই তাকে গাইবান্ধা বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে।”
এদিকে আলাদা গাড়িতে করে সাংসদ লিটনের স্ত্রীও ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় পৌঁছেছেন। রাতে তাকে ঢাকার ডিবি কার্যালয়েও দেখা গিয়েছিল।
গত ২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য লিটনের ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে নয় বছর বয়সী এক শিশু আহত হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
আহত সৌরভের বাবা সাজু মিয়া ঘটনার পরদিন সাংসদ লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন হাফিজার রহমান নামে সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের এক বাসিন্দা।
ওই দুই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে লিটন হাই কোর্টে আবেদন করলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে সাংসদ লিটনকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারকি হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু লিটনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আত্মসমর্পণের ওই আদেশ স্থগিতের আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত বুধবার তাতে সায় দেয়। ফলে লিটনকে গ্রেপ্তারের আইনি বাধা কাটে এবং রাতেই এই জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়।