শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতি নদীর উপর নতুন তিনটি সেতু নির্মাণ ও বিদ্যমান সেতুর সংস্কার কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
Published : 15 Oct 2015, 12:48 AM
বুধবার সচিবালয়ে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, “পাঁচ হাজার ৯৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার চুক্তিমূল্যে দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতুর পুনর্বাসন কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
দাতা সংস্থা জাইকা’র অর্থায়নে এ সেতু তিনটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান মাকসুদুর রহমান।
জাপানের চারটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওবায়শি কর্পোরেশন, শিমিজু কর্পোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রাস্টাকচার সিস্টেম এ কাজ করবে।
জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথকভাবে দরপত্র কিনলেও দরপত্র জমা দেওয়ার সময় যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
চুক্তি অনুযায়ী শীতলক্ষ্যা নদীর উপর চার লেনবিশিষ্ট ৩৯৭ দশমিক ৩ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতুর পুনর্বাসন এবং চার লেনবিশিষ্ট ৭০৩ দশমিক ৫ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়কসহ কাঁচপুর ফ্লাইওভার ও ইন্টারসেকশন নির্মাণ হবে।
মেঘনা নদীর উপর চার লেনবিশিষ্ট ৯৩০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতুর পুনর্বাসন এবং চার লেনবিশিষ্ট ৮৭০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ হবে।
গোমতি নদীর উপর চার লেনবিশিষ্ট ১৪১ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় গোমতি সেতু নির্মাণ, বিদ্যমান সেতুর পুনর্বাসন এবং চার লেনবিশিষ্ট এক হাজার ১০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া এক্সেল লোড স্কেল স্থাপন এবং সেতু পরিদর্শন যান ক্রয় এ চুক্তিতে রয়েছে।
সভায় ৬টি প্রস্তাব উঠলেও মোট ৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।