গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের গুলিতে এক স্কুলছাত্রের আহত হওয়ার অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যেই ‘আসল ঘটনা’ তদন্ত করে দেখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 04 Oct 2015, 05:11 PM
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান সুন্দরগঞ্জ এলাকাকে বর্ণনা করেন ‘জামায়াত অধ্যুষিত’ এলাকা হিসেবে।
শুক্রবার ভোরে সুন্দরগঞ্জের ব্র্যাক মোড়ের গোপালচরণ এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটনের গুলিতে নয় বছর বয়সী শাহাদাত হোসেন সৌরভ আহত হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
গুলিবিদ্ধ শিশুটির বাবা সাজু মিয়া এ ঘটনায় সাংসদ লিটনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলাও করেছেন।
গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বলেন, তার সরকার কোনো ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দেয় না; অন্যায়কে ‘প্রশ্রয়’ দেয় না।
ইতোমধ্যে সাংসদ লিটনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সেখানে সংগঠন টিকিয়ে রাখাই কঠিন। তারপরও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আসল ঘটনা তদন্ত করে দেখতে হবে।”
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম শনিবার দুপুরে সাংসদের অস্ত্র ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানানোর পর সন্ধ্যায় লিটনের স্ত্রীর বড় ভাই তারিকুল ইসলাম থানায় গিয়ে একটি পিস্তল, একটি শটগান ও গুলি জমা দিয়ে আসেন।
অবশ্য এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমপি লিটন প্রায় প্রতিদিনই মাতাল অবস্থায় ভোরের দিকে বাড়ি ফেরেন। ঘটনার দিন ভোর ৬টার দিকে নিজের গাড়িতে করে সুন্দরগঞ্জ থেকে বামনডাঙ্গায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি গুলি ছোড়েন।
ওই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে সাংসদ লিটনের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন সুন্দরগঞ্জের পৌর মেয়র স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।