সরকারসমর্থক আওয়ামী ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী (৫০) দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
Published : 21 Aug 2015, 04:21 PM
পল্টন থানার এসআই শরীফ হোসেন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে হেলালীর ওপর হামলা হয়।
“তাকে পেছন থেকে ছুরি মারা হয়।তার ঘাড়ে আঘাত লেগেছে।”
ঘটনার পরপরই আহত হেলালীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে ওই এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয় বলে এসআই শরীফ জানান।
ওলামা লীগের কর্মীরা জানান, বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে দক্ষিণ ফটক দিয়ে বেরিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মরণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন হেলালী। ওই সময় তার ওপর এই হামলা হয়।
‘আওয়ামী ওলামা লীগের’ দুটি অংশ দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে আলাদাভাবে দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এর একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী ও মো. দেলোয়ার হোসেন। অন্য অংশটি চলছে আক্তার হোসেন ও আবুল হাসানের নেতৃত্বে।
মৌলবাদীদের পক্ষে বক্তব্য রাখার কারণে ওলামা লীগের এই অংশের নেতাদের পেছনে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর মদদ থাকার অভিযোগ করে আসছিল হেলালীর অংশ।
গত জুলাই মাসে হেলালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী ওলামা লীগকে হেয় করতে দলের নাম ব্যবহার করে কিছু হেফাজতে ইসলামের অনুপ্রবেশকারী দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। এরা মূলত জঙ্গি, এরা হেফাজতের টাকায় সরকারবিরোধী কমর্কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।”
এ অভিযোগ অস্বীকার করে আক্তার-হাসান অংশের পক্ষ থেক সে সময় বলা হয়, ২০০১ সাল থেকেই তারা আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছেন।