রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত: পুতিন

এখনও পর্যন্ত রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রই বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি, বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশেরও বেশি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 08:50 AM
Updated : 13 March 2024, 08:50 AM

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া সামরিক- প্রযুক্তিগত দিক থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনে সৈন্য পাঠালে তা যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য তীব্রতা বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে পুতিন (৭১) আরও ছয় বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন, এমনটি নিশ্চিত বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নির্বাচনের দুই দিন আগে বার্তা সংস্থা আরআইএ ও রোশিয়া-ওয়ান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, খুব সহসাই পারমাণবিক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এমন নয় আর তিনি ইউক্রেইনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না।

বাস্তবিক রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেন, “সামরিক-প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা অবশ্যই প্রস্তুত।”

পুতিন বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে, যদি তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে অথবা ইউক্রেইনে মার্কিন সেনা মোতায়েন করে তাহলে রাশিয়া ওই পদক্ষেপকে হস্তক্ষেপ হিসেবে ধরে নেবে। (যুক্তরাষ্ট্রে) রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্কের বিষয়ে এবং কৌশলগত সংবরণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ আছে। কাজেই সেখানে সবকিছু এর জন্য (পারমাণবিক সংঘাত) তাড়াহুড়া করছে এমনটি আমি মনে করি না, কিন্তু আমরা এর জন্য প্রস্তুত আছি।”

১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে ইউক্রেইনের যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর সংকটে পড়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেইনে যুদ্ধ করতে সৈন্য পাঠালে তা পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছেন পুতিন।

তিনি বলেছেন, “অস্ত্র আছে ব্যবহার করার জন্যই। এ বিষয়ে আমাদের নিজস্ব নীতি আছে।”

এখনও পর্যন্ত রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রই বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি, বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশেরও বেশি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে দেশটির বাহিনীগুলোর সঙ্গে রাশিয়াপন্থি ইউক্রেইনীয় ও রাশিয়ার ছায়া বাহিনীগুলো আট বছর ধরে লড়াই করার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে হাজার হাজার সেনা পাঠান পুতিন, এতে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়।

ওই সময়ই পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা ইউক্রেইনে রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু যুদ্ধের দুই বছর পার হওয়ার পর এখন ইউক্রেইনের এক পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুন”

Also Read: রাশিয়ায় ঢুকে হামলা শুরুর দাবি ক্রেমলিন-বিরোধী রুশ সশস্ত্র দলের

Also Read: রাশিয়ায় সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

Also Read: ইউক্রেইনকে এক কড়িও দেবেন না ট্রাম্প: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী