মিয়ানমারের সেনারা কেন আত্মসমর্পণ করছে?

“আমার বাবার বয়সীদের হত্যা করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমি এসব স্বচক্ষে দেখেছি।”

ফারুক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2024, 03:21 AM
Updated : 11 Feb 2024, 03:21 AM

গণতন্ত্রপন্থি সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটানোর তিন বছরের মাথায় এসে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

বিদ্রোহীদের সম্মিলিত আক্রমণে এখন কোণঠাসা দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা, প্রাণ বাঁচাতে তারা ঢুকে পড়ছেন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতে।

জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী মিয়ানমারের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শত শত সেনা ঘাঁটিতে অহরহ হামলা চালাচ্ছে। সীমান্ত রক্ষীদের ফাঁড়িগুলো দখলে নিচ্ছে। এমন অবস্থায় মনোবল ভেঙে পড়া সামরিক বাহিনীর সদস্য, এমনকি জেনারেলরাও বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন।

গত বছরের অক্টোবর থেকে তিন গোষ্ঠীর বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ এই সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করে। এই জোটে রয়েছে তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) ।

তাদের আক্রমণে হাজারো সৈন্য যুদ্ধ সরঞ্জামসহ আত্মসমর্পণ করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ব্রাদারহুডের গোষ্ঠী আরাকান আর্মি চিন ও রাখাইন রাজ্যের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বেশ কয়েকটি সেনা ঘাঁটি দখল করেছে। সমন্বিত হামলায় বহু এলাকা খুইয়ে মিয়ানমার জান্তা এখন কোণঠাসা।

গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনের লিখেছে, যুদ্ধের মাঠে যাই হোক, পিছু হটার সুযোগ নেই সেনা সদস্যদের। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে সেনা সদস্যদের অভিযানে প্রাণ যাচ্ছে বেসামরিক মানুষেরও। ফলে নৈতিকতা বিবেচনা আর রাজনৈতিক কারণেও অনেকে যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে পালাচ্ছেন।

গত অগাস্টের এক রাতে বৃষ্টির মধ্যে কিছু সহযোদ্ধার সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে পালান উন্না কিয়াও নামে এক সেনা সদস্য। তার কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের এমন একটি জায়গায় মোতায়েন করা হয়, যেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছিল।

গার্ডিয়ানকে উন্না কিয়াও বলেন, “আমার ধারণা হয়েছিল, যদি চলে না যাই তবে নির্ঘাত মারা পড়ব।”

কায়িন বা কারেন রাজ্যের সেই যুদ্ধের মাঠে সিনিয়র অফিসার ও কমান্ডার ঘুমিয়ে পড়লে উন্না কিয়াওরা পালিয়ে যান। এটি এমন একটি কাজ, মিয়ানমারের আইনে যার শাস্তি হল সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড।

উন্না কিয়াও বলেন, যুদ্ধের ময়দানে ভয় থেকেই তিনি কেবল পালিয়ে যাননি। তার আপত্তি ছিল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা নিয়েও।

তার ভাষ্য, “আমি সেখানে কোনোভাবেই থাকতে চাইনি। যারা মারা পড়েছে, তাদের জন্য আমার দুঃখ হচ্ছিল। আমার বাবার বয়সীদের হত্যা করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমি এসব স্বচক্ষে দেখেছি।”

গার্ডিয়ান লিখেছে, গত কয়েক মাস ধরে জান্তা বাহিনীর হাজারো সামরিক কর্মকর্তা, এমনকি গোটা ব্যাটালিয়নও আত্মসমর্পণ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে সেনা সদস্যরা বলছেন, তারা নৈতিক জায়গা থেকে কিংবা রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধের মাঠ ছেড়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা বিরোধীদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

‘অপারেশন ১০২৭’

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার অং সান সুচিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর গত তিন বছর গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ-সংঘাত চললেও সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ বাড়তে থেকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে।

মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ জোট গঠনের পর ওই দিন উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে আক্রমণ চালানো হয়। তারিখের সঙ্গে মিল রেখে এ আক্রমণের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭’। এরপর চীন সীমান্ত ও অন্যান্য অঞ্চলেও বিদ্রোহীরা দ্রুত অগ্রগতি লাভ করে।

২৭ অক্টোবরের আক্রমণে বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর জঙ্গি বিমানগুলো ভূপাতিত করে, অস্ত্র-সরঞ্জাম দখল করে, প্রধান শহর ও পথঘাট নিয়ন্ত্রণে। ফলে সরকারি বাহিনীর জন্য বিব্রতকর এক পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষোভ তৈরি হয় সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন হাতত মিয়াত গার্ডিয়ানকে বলেন, “আমি যখন বাহিনীতে ছিলাম, সেসময় কোনো ক্যাপ্টেন নিহত, এমনকি বন্দি হওয়ার ঘটনাও ছিল খুবই বিরল। শত্রুরা সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে বা ট্যাঙ্ক ও মিসাইল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে- এমন কখনো হয়নি।”

গত জানুয়ারির শুরুর দিকে জান্তাবিরোধী যোদ্ধারা চীন সীমান্তের কাছে লাউকাই শহর দখল করে নেয়। ঘটনাটিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ’ হিসেবে বর্ণনা করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক উইলসন সেন্টারের বিশ্লেষক ইয়ে মায়ো হেইন।

তার হিসাবে, ওই অভিযানে ছয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ২ হাজার ৩৮৯ সামরিক কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু সেই আত্মসমর্পণের কারণে ছয় জেনারেলের কয়েকজনকে প্রাণদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়। যদিও জান্তা সরকার তা স্বীকার করেনি।

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. সাসার মতে, বিদ্রোহীদের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর পর থেকে মিয়ানমারের চার হাজারের বেশি সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে বা পালিয়েছে।

তার আরেকটি অনুমান, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে অধিকার কর্মীদের নানা কর্মসূচিতে প্ররোচিত হয়ে ১৪ হাজারের বেশি কর্মকর্তা জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিতে সামরিক বাহিনী ছেড়েছেন।

তবে ওই সংখ্যা যাচাই করা কঠিন বলে মনে করেন উইলসন সেন্টারের বিশ্লেষক ইয়ে মায়ো হেইন। তার মতে, কমপক্ষে ১০ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য বাহিনী ছেড়েছে। অপারেশন ১০২৭ এর পর থেকে গণহারে আত্মসমর্পণের প্রবণতা বেড়েছে। গোটা ব্যাটালিয়নের আত্মসমর্পণ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির সেনাবাহিনীকে দুর্বলও বলা যায় না। তারা অভিজ্ঞ আর প্রশিক্ষিত। ভারী অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে তাদের হাতে। রাশিয়া ও চীনের দেওয়া সামরিক বিমান রয়েছে। কিন্তু দলছুট হওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো অন্যদের মনোবল ধসিয়ে দিচ্ছে। সামরিক বাহিনীর নিচের পদগুলোতে হতাশা বাড়ছে।

ক্ষোভ নেতৃত্ব নিয়ে

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিজেদের মনে করে ‘জাতির রক্ষক’। সমাজের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন তারা। কর্মকর্তাদের প্রপাগান্ডার মধ্যে রেখে সমাজের অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।

“মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একটি রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্রের মত। তাদের নিজেদের সাম্রাজ্য বা আলাদা জগৎ আছে। নিজস্ব হাসপাতাল ও স্কুল আছে,” বলেন সামরিক পরিবারে বড় হওয়া থিনজার শুনলেই। তিনি এখন মানবাধিকারকর্মী।

সামরিক বাহিনী ছেড়ে যাওয়া সৈন্যরা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাহিনী ছাড়তে চাইছিলেন। কিন্তু পালানোর সুযোগ ছিল না।

শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ভয়, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে হাতাশা, বেতনের অভাব, বড় বড় পদে দুর্নীতি আর বাহিনীর চাপের কারণে বাহিনী ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলে তাদের ভাষ্য।

গত অগাস্টে সামরিক বাহিনী ছাড়েন থান্ট জিন ওও। তিনি বলেন, সাগাইং অঞ্চলে থাকার সময়ে বহু বেসামরিক মানুষকে বিনা বিচারে হত্যার ঘটনা দেখেছেন তিনি।

তাকে মোতায়েন করা হয়েছিল শহর এলাকা টহলের জন্য। কিন্তু সেখানে এক সিনিয়র অফিসারের হাতে পাঁচ নিরীহ মানুষকে খুন হতে দেখেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সদস্য সন্দেহে তাদের হত্যা করা হয়। যদিও তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল না।

ওই ঘটনা ২০২২ সালের শেষ দিকে জানিয়ে থান্ট জিন ওও বলেন, “বেসামরিক মানুষদের হাত বেঁধে গুলি করার আগে তাদের নিজেদের কবর নিজেদেরই খুঁড়তে দেওয়া হয়।”

বেসামরিক মানুষদের এভাবে হত্যার ঘটনাগুলো সামরিক বাহিনীর অনেকের মনোভাব বদলে দেয়। এসব ঘটনা আর বিদ্রোহীদের আক্রমণের পরিস্থিতিতে সেনা সদস্য উন্না কিয়া গত অগাস্টের এক রাতে পালিয়ে মন্দিরের এক সন্ন্যাসীর কাছে সহযোগিতা চান। এরপর দলবল নিয়ে যোগাযোগ করেন সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সঙ্গে। কেএনইউ জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

উন্না কিয়া বিশ্বাস করেন, সামরিক বাহিনীতে থাকা তার অন্যান্য বন্ধুও দলত্যাগের চেষ্টা করবে। তিনি এখন থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। একসময় যে বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছেন, সেই কারেন বিদ্রোহীদেরই সহযোগিতার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

অপরদিকে থান্ট জিন ওও যোগ দিয়েছেন কেএনইউ এর সঙ্গে। তিনি কেএনইউ এর হয়ে লড়াই করলেও সামরিক বাহিনীর অন্য নিরীহ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে চান না।

তার ভাষ্য, “আমি সারমিক বাহিনীর নেতৃত্বকে হত্যা করতে চাই।”

‘আরাকান আর্মির চাপ’

বাংলাদেশের কাছে পশ্চিম মিয়ানমারের সীমান্তে বর্ডার গার্ড পুলিশের একটি ফাঁড়ি রোববার দখল করে নেয় আরাকান আর্মি। রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর এটি সবশেষ আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।

আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ওই দিন মংডু শহরের ‘তাউং পিয়ো লেট ইয়ার’ ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর ফলে বর্ডার গার্ড পুলিশের সদস্যরা সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করে মংডুর এক বাসিন্দা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আরাকান আর্মি আরো চাপ দেবে। যদি তাউং পিয়ো ফাঁড়িগুলো দখলে যায়, তবে রাখাইনে আন্তঃসীমান্ত ব্যবসা থেমে যাবে। এছাড়া অন্য ফাঁড়িগুলোতে আক্রমণ চালানো হবে।”

তিনি বলেন, “সম্ভবত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য রুট পুনঃস্থাপনে সীমান্তে ফাঁড়িগুলোকে নিশানা করছে আরাকান আর্মি। এগুলো সামরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ ছিল।

“জান্তা রাখাইনে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় রসদ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ে। তাই আরাকান আর্মি মনে করে, এই রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করা দরকার।”

আরাকান আর্মি বুথিডাং, মংডু, ম্রাউক-ইউ, মিনবিয়া, কিয়াউকতাও, রাথেডাউং, পোন্নাগিউন ও রামরি শহরতলিতে জান্তা ঘাঁটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছে।

ওপারের যুদ্ধের ঝাঁজ এপারে

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনা ও বিদ্রোহীদের যুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের এপারে আতঙ্ক চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি এবং সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠছেন।

ওপার থেকে আসা গোলায় সোমবার বাংলাদেশের দুজনের প্রাণ গেছে। ঘুমধুম ও পালংখালী সীমান্ত এলাকায় মঙ্গলবারও মার্টার শেল ও গোলার আঘাতে অন্তত পাঁচজনের আহত হয়েছে।

কয়েকদিনের যুদ্ধের মধ্যে সাহস করেও যারা ভিটেমাটি আগলে পড়ে ছিলেন, মঙ্গলবার তারাও বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় গ্রামের পর গ্রাম বিরান হয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় মিয়ানমারের দূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

লড়াই ছেড়ে মিয়ানমারের ৩২৮ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে। তাদের আবার মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর তোড়জোড় চলছে।