ব্রাসিলিয়ার দাঙ্গা তদন্তে ‘একসঙ্গে কাজ করতে চাইছেন’ ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা

দুই দেশের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শুরুও হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2023, 06:49 AM
Updated : 12 Jan 2023, 06:49 AM

ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় কয়েকদিন আগের দাঙ্গার তদন্ত করতে চাওয়া সাংসদদের সহযোগিতায় তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দুই বছর আগের তাণ্ডবের তদন্ত করা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সহযোগীরা প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করেছেন।

বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত দুই ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর কট্টর সমর্থকরা সম্প্রতি ব্রাজিলের এখনকার প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাকে উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থান চেয়ে রাজধানীতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার দখল নিয়ে সেখানে তুমুল ভাঙচুর ও অরাজকতা চালায়।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ডনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার তদন্তের দায়িত্বে প্রতিনিধি পরিষিদের কমিটি সম্প্রতি বিলুপ্ত হয়েছে; ওই কমিটির চেয়ারম্যান বেনি থমসন গুটিকয় মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একজন, যার কার্যালয়ের সঙ্গে ব্রাজিলে দাঙ্গার তদন্তে থাকা দেশটির আইনপ্রণেতাদের যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত এক ব্যক্তি।

আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।

“৬ জানুয়ারি সিলেক্ট কমিটির কাজ ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই প্রতিবেদন যদি একই ধরনের অন্য তদন্তেও কাজে আসে, তাহলে আমি তাতে যেকোনোভাবেই সহযোগিতা করবো,” লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন থমসন।

ব্রাজিলের সেনেটের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাচেকো-ও এই ধরনের সহযোগিতা বিনিময়ের ধারণা নিয়ে ব্রাসিলিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলেছেন, বলেছেন দুইজনের আলোচনা সম্বন্ধে অবগত তৃতীয় এক ব্যক্তি।

ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ডগলাস কোনেফও দুই বছর আগে ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার তদন্তের খুঁটিনাটি শেয়ারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন, বলেছে পাচেকোর ঘনিষ্ঠ ওই সূত্র।

এই প্রসঙ্গে রয়টার্স পাচেকোর কার্যালয় ও ব্রাসিলিয়ায় থাকা মার্কিন দূতাবাসের মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দিক থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

৬ জানুয়ারি দাঙ্গা নিয়ে হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত মাসে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে- দুই বছর আগেকার ওই প্রাণঘাতী দাঙ্গার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা উচিত।

তদন্ত কমিটিটি ওই ঘটনা প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট ১৭টি মতও দিয়েছে। তাতে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন আইনি দিক নিয়ে আলোচনা করেছে, এবং ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে বিচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও জানিয়েছে।