যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরে ইউক্রেইনে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডেভিড ক্যামেরন।
বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি নিজেই ক্যামেরনের ইউক্রেইন সফরের কথা জানান বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভার শীর্ষ পর্যায়ে রদবদলের অংশ হিসেবে পুনরায় দেশটির সরকার ব্যবস্থায় ফিরে আসেন ক্যামেরন। যিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
ক্যামেরন কিইভ যাওয়া পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য শুভেচ্ছা জানান। সেইসঙ্গে ইউক্রেইনের প্রতি যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থনের জন্যও তিনি ক্যামেরনকে ধন্যবাদ দেন।
বিবিসি জানায়, ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন। যেখানে ক্যামরনকে বলতে শোনা যায়, “আমি প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরে এখানেই আসতে চেয়েছিলাম।
“আমি এখানে দাঁড়িয়ে এটাই বলতে চাই যে আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় নৈতিক সহায়তা, কূটনৈতিক সহায়তা, অর্থনৈতিক সহায়তা এবং সর্বপরি সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবো। আর তা শুধু এই বছরের জন্য নয় বরং যতদিন প্রয়োজন ততদিন দিয়ে যাব।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যখন ইউক্রেইনে আক্রমণ করে তখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। যে কয়কজন বিশ্ব নেতা সবার প্রথমে ইউক্রেইনের প্রতি তাদের সমর্থন জানান তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জনসন। রুশ আক্রমণ শুরুর পর তিনিই প্রথম বিশ্বনেতা যিনি ইউক্রেইন সফর করেছিলেন।
বরিস জনসন প্রসঙ্গে জেলেনস্কিকে ক্যামেরন এদিন বলেন, “বরিস জনসনের সাথে আমার কিছু মতপার্থক্য ছিল, আমরা একে অপরকে ৪০ বছর ধরে চিনি, কিন্তু আপনার প্রতি তার সমর্থন ছিল সর্বোত্তম জিনিস যা তিনি এবং তার সরকার করেছিলেন।”
ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি ক্যামেরনের সঙ্গে অস্ত্র, অস্ত্র উৎপাদন এবং কৃষ্ণ সাগরের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।