স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজধানী মাদ্রিদে নিযুক্ত ইউক্রেইনের রাষ্ট্রদূতসহ উচ্চ-পদস্থ ব্যক্তিবর্গকে নিশানা করে পাঠানো পাঁচটি চিঠি বোমা শনাক্ত করেছেন বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম চিঠি বোমাটি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। বিস্ফোরক ডিভাইসের হুমকি মোকাবেলায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
স্পেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিক ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে, চিঠি বোমার পাঁচটি প্যাকেজই স্পেনের মধ্য থেকেই পাঠানো হয়েছিল।
নিরাপত্তা বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী রাফায়েল পেরেজ বলেছেন, বাড়িতে তৈরি ডিভাইসগুলো দাহ্য পাউডার এবং ট্রিপওয়্যারসহ বাদামী প্যাকেজে করে পাঠানো হয়েছিল, যা বিস্ফোরণ ঘটানো নয় বরং ‘আকস্মিক আগুন’ ধরিয়ে দিতে পারে।
যে সব প্রতিষ্ঠানে প্যাকেজগুলো পাঠানো হয়েছিল সেইসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সম্বধোন করা হয়েছিল এতে।
পেরেজ বলেছেন, একটি ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং এতে মাদ্রিদে ইউক্রেইনীয় দূতাবাসের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। অন্য তিনটি ডিভাইসের বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রিতভাবে ঘটিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অপরটি তদন্তের জন্য অক্ষত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বোমাগুলো দেশের মধ্য থেকেই পাঠানো হয়েছে। তবে আমরা গভীর প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন এখনও পাইনি। আপাতত চাক্ষুষভাবে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে আমরা এমন ধারণা করছি।”
পেরেজ অবশ্য বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলার হুমকির সতর্কতার মাত্রা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য এখনই নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক আহ্বান করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন না তিনি। কারণ, গত এক দশকে ইউরোপ ঘিরে ইসলামপন্থি হামলার পর স্পেনে এমনিতেই সন্ত্রাসের হুমকির সতর্কতার মাত্রা দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ স্তরে আছে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশকে সরকারি ভবনগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিশেষ করে পোস্টাল সব ডেলিভারি সাবধানে চেক করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বলেছে, ডিভাইসগুলো বাড়িতে তৈরি হলেও সেগুলো যে কেউ তৈরি করতে পারার মতো না। তদন্তকারীরা এখন এগুলোর প্রকৃত উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, স্পেনের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে বিশেষায়িত হাইকোর্ট এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।