ইউক্রেইন সীমান্তে অবস্থিত ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ঢুকে কয়েকজনকে জিম্মি করা ইউক্রেইনের একটি নাশকতাকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা।
বৃহস্পতিবার রুশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তারা এই লড়াইয়ের খবর দেয়, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক বছর আগে মস্কো তার ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ ইউক্রেইনে কয়েক লাখ সেনা পাঠানোর পর থেকেই রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে; ওই এলাকায় এখন নিয়মিতই গোলাবর্ষণ ও বিচ্ছিন্ন নাশকতার খবর পাওয়া যায়।
রাশিয়ার ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি রুশ বার্তা সংস্থাগুলোকে জানায়, তাদের সদস্য এবং সেনাবাহিনী সীমান্ত টপকে ঢুকে পড়া ‘ইউক্রেইনীয় জাতীয়তাবাদীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপকে‘ নিশ্চিহ্নে চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউক্রেইনীয়দের গুলিতে একজন নিহতও হয়েছে, বলেছেন ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেক্সান্ডার বোগোমাজ।
“আজ ইউক্রেইনের একটি নাশকতাকারী ও সেনাবাহিনীর জন্য খোঁজখবর গ্রহণকারী গোষ্ঠী লিউবেচান গ্রামের ক্লিমোভস্কি জেলায় ঢুকে পড়ে। নাশকতাকারীরা একটি চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাদের হামলায় এক বাসিন্দা নিহত হয়েছে এবং ১০ বছর বয়সী একটি শিশু আহত হয়েছে,” টেলিগ্রামে এমনটাই বলেছেন বোগোমাজ।
সীমান্তের কাছে অন্যান্য এলাকায় ইউক্রেইনীয় সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে ও গোলাও ছুড়েছে, বলেছেন তিনি।
রয়টার্স এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
বুধবার ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছিল, রুশ বাহিনী ব্রায়ানস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেইনের ওপর ড্রোন হামল চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেইনের উত্তরে অবস্থিত এই অঞ্চলটি রাশিয়ার অন্যান্য হামলাস্থল থেকে কিইভের তুলনামূলক কাছে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইউক্রেইনীয়রা দুটি রুশ গ্রামে ঢুকে পড়েছে; এর মধ্যে একটি গ্রামে তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিম্মিও করেছে।
বার্তা সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, লিউবেচান গ্রামের একটি দোকানে কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, ওই স্থানটির দূরত্ব সীমান্ত থেকে এক কিলোমিটারেরও কম।
ব্রায়ানস্কে এর আগেও কয়েকবার ইউক্রেইনীয় নাশকতাকারীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথা জানিয়েছিল রাশিয়া।
ডিসেম্বরে এফএসবি বলেছিল, ব্রায়ানস্কে ঢোকার চেষ্টা চালানো চার সদস্যের একটি ‘নাশকতাকারী দলকে’ নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ্ফএসবিকে বলেছিলেন, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ইউক্রেইন ও পশ্চিমা দেশগুলোর দিক থেকে যে ধরনের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি আসছে তার মোকাবেলায় পাহারার পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
“আপনাদের কাজ হচ্ছে নাশকতাকারীদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো, রাশিয়ায় অবৈধভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের চেষ্টা আটকানো,” মঙ্গলবার দেওয়া ভাষণে বলেছেন তিনি।