তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিক্রিয়ায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তাইওয়ানের ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রদূত সাও বি-খিমের ওপর চাপানো হয়েছে আরও নিষেধাজ্ঞা।
তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর চীনা মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং ম্যাকাওয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের ঘোষিত এ নিষেধাজ্ঞায় সাওয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিনিয়োগকারী এবং সংস্থাগুলোকে চীনা মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি সাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আয়োজক দুটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান হাডসন ইনস্টিটিউট এবং রিগান লাইব্রেরি ও তাদের প্রধানদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উভয় মার্কিন প্রতিষ্ঠানই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই এর বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের জন্য প্ল্যাটফর্ম এবং সুযোগ- সুবিধা দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা অবিলম্বে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সংস্থা এবং ব্যক্তিদেরকে হাডসন ইনস্টিটিউট, রিগান লাইব্রেরি এবং তাদের নেতৃত্বে যারা রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা করার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
তাছাড়া, সংস্থাগুলোর প্রধানদেরও চীন সফরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং চীনে তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এ সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তার বৈঠকের পরই চীন এ সমস্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।
চীনের নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেছেন তাইওয়ানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিয়াও। তিনি বলেন, “বাহ, পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) আমার ওপর দ্বিতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।”
ওদিকে, তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, “সাই এর বিদেশ সফর নিয়ে চীনের নাক গলানোর কোনও অধিকার নেই। বেইজিং যদি মনে করে নিষেধাজ্ঞার কোনও প্রভাব পড়বে তাহলে তারা নিজেরাই নিজেদের ঠকাচ্ছে।
“এতে কেবল আমাদের জনগণের বিদ্বেষই বাড়বে না বরং এ পদক্ষেপ চীনের কমিউনিস্ট শাসনের অযৌক্তিক এবং হস্যকর স্বরূপকেই সামনে নিয়ে আসবে।”
চীন তাইওয়ানকে আলাদা দেশ নয় বরং তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড বলেই মনে করে। তবে তাইওয়ান সরকার চীনের এ দাবির বিরোধিতা করে আসছে।