ভারতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ১০ কোটির বেশি, পাঁচ বছরে যা বেড়ে ‘দ্বিগুণ’ হবে: গবেষণা

ভারতে প্রায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস- পূর্ববর্তী অবস্থায় রয়েছেন, এদের ৬০ শতাংশই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীতে পরিণত হবেন বলে মত গবেষকদের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2023, 12:43 PM
Updated : 9 June 2023, 12:43 PM

ভারতে ১০ কোটি ১০ লাখের মত মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে এক গবেষণায় ওঠে এসেছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাতে বিবিসি বলছে, দেশটিতে আরও প্রায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস-পূর্ববর্তী অবস্থায় (প্রি-ডায়াবেটিস) আছেন।

অতীতের তুলনায় বর্তমানে ভারতে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলেও জানান গবেষকরা।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে অনুমান করেছিল; ডায়াবেটিস-পূর্ববর্তী অবস্থায় থাকা সংখ্যাটি ছিল আড়াই কোটি।

যারা প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থায় রয়েছেন তাদের অদূর ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সব থেকে বেশি।

গবেষক দলের প্রধান এবং ডা. মোহন’স ডায়াবেটিস স্পেশালিটিস- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আর এম অঞ্জনা বলেন, “এটি টাইম বোমের মত কাজ করছে।

‘‘যদি আপনার প্রি-ডায়াবেটিস থাকে, তবে আপনি দ্রুতই ডায়াবেটিস আক্রান্তে পরিণত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে থাকেন। আমাদের দেশে যত মানুষ প্রাক-ডায়াবেটিস অবস্থায় রয়েছেন তাদের ৬০ শতাংশের বেশি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন।”

সেই হিসেবে আগামী পাঁচ বছরেই ভারতে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

গবেষকদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোয়া (২৬ দশমিক ৪ শতাংশ), পন্ডিচেরি (২৬ দশমিক ৩ শতাংশ) এবং কেরালায় ( ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ) ডায়াবেটিসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।

আর ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, অরুণাচল এবং বিহারের মত রাজ্যগুলোতে ডায়াবেটিসের প্রকোপ এখনো কম থাকলেও সেখানে খুব দ্রুত গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেও সতর্ক করেছেন গবেষকরা।

২০০৮ সালে থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে গ্রামে ও শহরে চালানো নানা জরিপের ফলাফল বিশ্লেষন করে গবেষকরা এসব তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

দশকব্যাপী এই গবেষণা মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে। এতে সব রাজ্যের ২০ বছরের বেশি বয়সের ১ লাখ ১৩ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।