অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মিয়ানমারের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই এ সপ্তাহে দেশটিতে বিরল সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গত বছর মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। যে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভ হয়েছে এবং বিচ্ছিন্নভাবে এখনও বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভ দমনে জান্তা সরকার শক্তি প্রয়োগ করছে। যে কারণে দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা দারুণ অস্থিতিশীল হয়ে আছে।
এরমধ্যেই দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেইজার। সোমবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়াও বিবৃতিতে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করা এবং মানবিক ত্রাণ নিয়ে নির্বিঘ্নে প্রবেশের পথ তৈরির যে আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে করা হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
বলা হয়, ‘‘হেইজার দেশটিতে ক্রমে চরম অবনতির পথে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে এবং তাৎক্ষণিকভাবে যেসব উদ্বেগ নিয়ে কাজ করা উচিত সেগুলোর দিকে মনোনিবেশ করবেন।”
হেইজারের সফরের বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
তবে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুন সামরিক বাহিনীপন্থি একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বুধবার হেইজারের মিয়ানমারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
‘‘তিনি দেশটির নেতা এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।”
সু চির সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে কোনও অনুরোধ করা হয়নি বলেও জানান জ মিন তুন।
এর আগে আসিয়ানের পক্ষ থেকে তাদের একটি প্রতিনিধি দলের সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু জান্তা সরকার সে অনুমতি দেয়নি।