উড়োজাহাজের প্রযুক্তি রাশিয়ায় পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ মার্কিনি

মিয়ামিতে আমেরিকান বার এসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ম্যাথিউ অ্যাক্সেলরড এ দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2023, 04:19 AM
Updated : 3 March 2023, 04:19 AM

যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন লংঘন করে রাশিয়ায় উড়োজাহাজ সংক্রান্ত প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগে ক্যানসাস শহর থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন পুলিশ।

৫৯ বছর বয়সী সিরিল বুইয়ানোভস্কি ও ৫৫ বছর বয়সী ডগলাস রবার্টসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি আইনকে পাশ কাটিয়ে কমিউনিকেশনস, নেভিগেশন, ফ্লাইট কন্ট্রোল ও উড়োজাহাজে ইনস্টল করা হুমকি শনাক্তকরণ প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার নির্মিত বিমান চালায় এমন ক্রেতাদের কাছে বেচেছিল।

ক্যানসাসের মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে উন্মুক্ত করা অভিযোগপত্রে এসব বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মিয়ামিতে আমেরিকান বার এসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ম্যাথিউ অ্যাক্সেলরড এ দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার দুজনের প্রতিষ্ঠান ক্যানরাস ট্রেডিং কোম্পানি রুশ উড়োজাহাজ মেরামত করেছিল ও উড়োজাহাজ সংক্রান্ত প্রযুক্তি পাঠিয়েছিল। ধরা না পড়তে তারা ভুয়া তথ্য সম্বলিত কাগজপত্রও জমা দিয়েছিল।

ওই প্রতিষ্ঠানটি রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) জন্য পাঠানো মেরামতের সরঞ্জামে সেগুলোর চূড়ান্ত গন্তব্য জার্মানি লেখা স্টিকার লাগিয়ে ভুয়া ইনভয়েসও দিয়েছে বলে দাবি কৌঁসুলিদের।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এভিয়োনিক্সের একটি চালান আটক করার পর মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুইয়ানোভস্কি ও রবার্টসনকে এ ধরনের সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য তাদের লাইসেন্স দরকার বলে জানিয়েছিল।

এভিয়োনিক্সের মধ্যে কমিউনিকেশনস, নেভিগেশন, ফ্লাইট কন্ট্রোল ও উড়োজাহাজে ইনস্টল করা হুমকি শনাক্তকরণ প্রযুক্তি আছে।

ক্যানরাস ট্রেডিং কোম্পানি গত বছরের মে, জুন ও জুলাইয়েও আর্মেনিয়া ও সাইপ্রাসের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকসের চালান পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ মার্কিন কৌঁসুলিদের।

এই যুগলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, লাইসেন্স ছাড়া কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রপ্তানি, রপ্তানি সম্পর্কিত ভুল তথ্য দেওয়া এবং সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অমান্য করে পণ্য পাচারের বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।  

দোষী সাব্যস্ত হলে পাচারের প্রতিটি অভিযোগের জন্য তাদের সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে।

অভিযোগ সম্পর্কে গ্রেপ্তার দুজনের কোনো ভাষ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি রয়টার্স।

গত বছর রাশিয়া ইউক্রেইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও সামুদ্রিক খাতকে টার্গেট করে একাধিক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। ওয়াশিংটনের এ বিধিনিষেধের আওতায় পরে রাশিয়ার তেল শোধনাগার, শিল্প ও বাণিজ্য খাত এবং বিলাস দ্রব্যকেও ঢোকানো হয়েছে।