এ পদ্ধতি নির্যাতনের সামিল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক।
Published : 26 Jan 2024, 06:02 PM
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা রাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে দোষী সাব্যস্ত এক খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক। এ পদ্ধতি নির্যাতনের সামিল হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতি চালু হওয়ার চার দশক পর বৃহস্পতিবার নতুন এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত খুনি কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ভাড়াটে খুনি স্মিথকে ১৯৮৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু তার মৃত্যুদণ্ড একবার কার্যকর করার চেষ্টা করা হলেও সে বেঁচে যায়। এ ঘটনার পর নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় আলাবামা।
নতুন এই পদ্ধতিকে ‘মানুষের জানা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সবচেয়ে কম যন্ত্রণাদায়ক ও মানবিক উপায়’ বলে অভিহিত করেছিল তারা।
কিন্তু শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই নতুন এবং অপরীক্ষিত পদ্ধতি নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ থাকার পরও এভাবে কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এ পদ্ধতি নির্যাতন, বর্বরতা, অমানবিক এবং গুরুতর শারিরীক যন্ত্রণা বা আঘাতের সামিল হতে পারে।”
তিনি বলেন, “এই মৃত্যুদণ্ড মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমি সব রাজ্যকে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সার্বজীননভাবে বিলুপ্ত করার পথে একটি ধাপ হিসাবে এর ব্যবহার স্থগিত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।