ইউক্রেইনের গোলাবারুদের সংকটের কথা উল্লেখ করে এই ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র।
Published : 16 Feb 2024, 04:08 PM
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকা দখল করে নিতে পারে রাশিয়া। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি কয়েক মাসে শহরটিকে ঘিরে তুমুল লড়াই হয়েছে।
ইউক্রেইনের গোলাবারুদের সংকটের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, "আভদিভকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।”
ওদিকে, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেইনীয় নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে যথাসম্ভব সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ার সেনারা আভদিভকার লড়াইয়ে অগ্রগতি অর্জন করেছে। শহরটি ঘিরে ফেলার হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।
আভদিভকা প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ শহরকে দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার হিসেবে দেখা হয়। ২০১৪ সালে রাশিয়া-সমর্থিত যোদ্ধারা দোনেৎস্ক দখল করেছিল। পরে সেটিকে মস্কোর সাথে সংযুক্ত করা হয়।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করে। প্রথমে ইউক্রেইন শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে।
ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে কারবি বলেন, "আভদিভকার বড় ধরনের পতন ঘটতে পারে। কারণ, মাঠে থাকা ইউক্রেইনীয় বাহিনীর অস্ত্র ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।"
তিনি বলেন, "রাশিয়া একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, যেহেতু কংগ্রেসে এখনও সহায়তা বিল পাস হয়নি, তাই আমরা ইউক্রেইনকে গোলাবারুদ সরবরাহ করতে পারছি না। যদিও রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে এগুলোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে ইউক্রেইনের সেনারা।”
কারবি জানান, "রুশ বাহিনী এখন আভদিভকাতে ইউক্রেনীয় পরিখাযগুলোতে পৌঁছে গেছে। তারা ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা ভাঙতে শুরু করেছে।"
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্রায় ৯ হাজার ৫শ কোটি মার্কিন ডলারের সাহায্য প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার কোটি ডলার। বিলটি এখনও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বাকি।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেইন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র সরবরাহের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
নেটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেছেন যে, ইউক্রেইনের জন্য সামরিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা ইতোমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।