উজবেকিস্তানে কফ সিরাপ সেবনে শিশুর মৃত্যুর ঘটনার জেরে ভারতে নয়ডার ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডে’র সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার।
শুক্রবার এক টুইটে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়।
উজবেকিস্তান সরকার এ সপ্তাহে জানায়, ভারতে তৈরি কফ সিরাপ সেবনে সেদেশে ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই শিশুরা ভারতের ম্যারিয়ন বায়োটেক কোম্পানির তৈরি কফ সিরাপ ডক-১ ম্যাক্স সেবন করেছিল।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওই কফ সিরাপে ইথাইল গ্লাইকলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফলে ভারতীয় ওই কফ সিরাপ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে উজবেক সরকার। সেদেশের বাজার থেকেও ভারতীয় ওই সংস্থার সব কফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উজবেকিস্তান সরকারের ওই অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। ম্যারিয়ন বায়োটেকের বিরুদ্ধে যৌথ তদন্তের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয় শুক্রবারের টুইটে বলেছেন, “গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতেই ম্যারিয়ন বায়োটেকের নয়ডা ইউনিটের সব উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বাড়তি তদন্ত চলছে।”
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে তল্লাশি চালায়। তারপরই নয়ডা ইউনিটে সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়।
ওদিকে, ম্যারিয়ন বায়োটেকের অন্যতম শীর্ষকর্তা হাসান হ্যারিস জানিয়েছেন, তারা তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেটি না আসা পর্যন্ত তারা সব ধরনের ওষুধের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উজবেকিস্তানের আগে গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায়ও ভারতে বানানো কফ সিরাপের নাম উঠে এসেছিল। দিল্লি ভিত্তিক মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বানানো ঠাণ্ডা ও কাশির সিরাপে অন্তত ৭০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আফ্রিকার দেশটি।
যদিও ভারতের সরকার ও মেইডেন উভয়ই পরে গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুতে তাদের ওষুধের দোষ থাকার কথা অস্বীকার করেছে।