বায়ুদূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা ভারতের

দূষণ কমাতে অন্যতম উপায় হিসাবে এবার প্রথম ২০ ও ২১ নভেম্বরে কৃত্রিম বৃষ্টিতে ভেজানো হতে পারে রাজধানী দিল্লিকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2023, 02:35 PM
Updated : 9 Nov 2023, 02:35 PM

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে নগরী। পরিস্থিতি সামলাতে ইতোমধ্যেই যান চলাচলে জোড়-বিজোড় ফর্মুলা চালু, স্কুল, কলেজ ছুটি ঘোষণার মতো নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না। তাই দূষণ কমাতে অন্যতম উপায় হিসাবে এবার প্রথম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা করেছে নয়াদিল্লি।

শীতের আগমনীর এ সময়ে নভেম্বরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকার কারণে এই কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে আইআইটি কানপুর। কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি নামাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আইআইটি কানপুররে গবেষকরা।

চলতি সপ্তাহেই কানপুর আইআইটি গবেষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। ছিলেন অর্থমন্ত্রীও। সেখানেই রাজধানীতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের ছক তৈরি করা হয়।

এনডিটিভি জানায়, ২০ ও ২১ নভেম্বরে কৃত্রিম বৃষ্টিতে ভেজানো হতে পারে দিল্লিকে। একাজে আইআইটি গবেষকদেরকে সহায়তা করবে দিল্লি প্রশাসন ও পৌরসভা।

দিল্লিতে কীভাবে হবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত- সে বিষয়ে দিল্লি সরকার বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে আইআইটি গবেষকদের কাছে। শুক্রবার এই প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবেন তারা। আদালত অনুমতি দিলে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের  পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার।

পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানান, আইআইটি গবেষকরা তাকে বলেছেন যে, কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করতে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ মেঘের আচ্ছাদন প্রয়োজন। ২০ ও ২১ নভেম্বর এই মেঘ ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আদালতের অনুমতি পেলে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো হবে দিল্লিতে।

দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি করতে হলে কেন্দ্র থেকেও অনুমতি নিতে হবে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারকে। ফলে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে।

দূষণ ঠেকাতে কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরি করে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো নিয়ে গত ৫ বছর ধরে কাজ করছে আইআইটি কানপুর। গত জুলাই মাসে এর পরীক্ষাও সফল হয়েছে। এবার সার্বিকভাবে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুদূষণ ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার বায়ুদূষণ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে দিল্লি সরকার। জনগণের স্বাস্থ্যর ক্ষতির বিষয়ে সরকার দায় এড়াতে পারে না বলে জানায় আদালত।

তবে দূষণের ব্যাপারে কেজরিওয়াল সরকারের অভিযোগ, আশেপাশের পঞ্জাব-হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোতে কৃষকদের ফসলের নাড়া পোড়ানোর জেরেই দূষণে ভরে গেছে দিল্লি।

নাড়া পোড়ানো অবিলম্বে বন্ধ করতে দুদিন আগেই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরও বৃহস্পতিবার দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা চরম পর্যায়েই আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।