রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আলেক্সি পোলিশচাক বলেছেন, কিইভ যদি রাশিয়া বা বেলারুশে আগ্রাসন চালায় তাহলে বেলারুশ ইউক্রেইন যুদ্ধে যোগ দিতে পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার আলেক্সি একথা বলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে যুদ্ধের শুরু থেকেই প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের ভূখন্ড ব্যবহার করে রুশ সেনারা ইউক্রেইনে ঢুকেছে। আর গত অক্টোবর থেকে বেলারুশে যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
ওই সময় থেকে দুই দেশ সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতেও সম্মত হয়েছে। উত্তরের দিক থেকে ইউক্রেইনে নতুন করে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ বেলারুশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে।
রাশিয়ার তাস বার্তা সংস্থায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আলেক্সি বলেন, “আইনগত দিক দিয়ে দেখলে, কিইভের শাসকরা সামরিক শক্তি ব্যবহার করলে অথবা রাশিয়া কিংবা বেলারুশে ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনী আগ্রাসন চালালে তা সম্মিলিতভাবে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।”
তবে এমন কোনও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে রাশিয়া ও বেলারুশের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান আলেক্সি।
যুদ্ধে বেলারুশের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। গত বুধবার তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেইনকে বেলারুশ সীমান্তে প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত বেলারুশ কেবল গলাবাজি ছাড়া আর কিছু করেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি, বড় বড় কথা ছাড়া বেলারুশের কাছ থেকে শক্তিমত্তার আর কিছু দেখা যায়নি। তবে তারপরও আমাদেরকে বেলারুশ সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে প্রস্তুত থাকতে হবে।”