চীনকে উত্যক্ত করতেই মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
মিয়ানমার সফররত এই রুশ মন্ত্রী বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, দেশটি আন্তর্জাতিক আইন বা চর্চা কোনোটিরই ধার ধারে না।
“চীনের কাছে কেমন লাগবে, তা ভালোমতো জানার পরও কোনো কারণ ছাড়াই এ ধরনের খোঁচাখুচির আর কোনো কারণ দেখি না আমি,” বলেছেন ল্যাভরভ।
মঙ্গলবার পেলোসি তাইওয়ানে নামার পর থেকে বেইজিংয়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেইনে সংঘাত ঘিরে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিভাজন যখন দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে সেসময় চীনের এই প্রতিক্রিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।
পেলোসির তাইপে সফরের সমালোচনা এসেছে রাশিয়ার কাছ থেকেও। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা মস্কো সতর্ক করে বলেছে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের তাইওয়ান সফর যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের সঙ্গে সংঘাতের পথে নিয়ে যেতে পারে।
মস্কো ও বেইজিং উভয়েই ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাসী, তারা তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে।
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ‘এক চীন’ নীতিতে থাকলেও তাইওয়ানের সুরক্ষায় সহায়তা করতে তারা আইনিভাবে বাধ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন-তাইপের মধ্যে দহরম-মহরমও বাড়তে দেখা যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চীনের হুমকিও। তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা।