মিসরাতা (লিবিয়া), এপ্রিল ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় মিসরাতা শহরে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ৩০ জন বিদ্রোহী। শহরটির দখল নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে।
বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মিসরাতা শহরে শনিবার মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী ব্যাপক হামলা চালায়। আর ন্যাটোর বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিদ্রোহীরা।
সহযোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আব্দেল সালেম সাংবাদিকদের জানান, সরকারের অনুগত বাহিনী তিন দিক থেকে শহরে অভিযান চালায়। যাতে নিহত হয় ৩০ জন।
তবে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিদ্রোহীদের মধ্যেই মতভেদ দেখা যায়। বিদ্রোহীদের অন্য মুখপাত্র সাদ্দাউন জানান, আট জন বিদ্রোহীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরো ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যখন যুদ্ধ চলছিলো, তখন ন্যাটোর বিমানগুলো সরকারি বাহিনীকে লক্ষ করে গোলা ছোড়ে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদক জানান, মিসরাতায় অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে গোলাগুলির শব্দ শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
শহরের একটি মসজিদ ও একটি হাসপাতালসহ অনেক ভবনেই গোলার আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন ওই সাংবাদিক।
সংঘর্ষে সহযোদ্ধাদের হারালেও সরকারের অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যাটোর চালানো বিমান হামলায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিদ্রোহীরা।
মুস্তফা বলেন, "ন্যাটো অভিযানের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। মিসরাতায় গাদ্দাফির বাহিনীর দখলে থাকা কমপক্ষে চারটি স্থানে তারা বোমা হামলা করেছে।"
ন্যাটো অভিযান নিয়ে কয়েকদিন ধরে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিলো বিদ্রোহীরা। তদের বক্তব্য, ন্যাটো অভিযানে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিলো না।
মিসরাতার নিয়ন্ত্রণ নিতে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী ৬ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
শহরের বাসিন্দারা জানান, প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ খুব কম, পানির সরবরাহ অনিয়মত ও হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় রয়েছে।
এছাড়া পুরো শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন বলে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে।
সংঘাতপীড়িত ওই বন্দরনগরীতে রেডক্রসের একটি জাহাজ চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে শনিবার ভিড়েছে। ওই জাহাজ থেকে যুদ্ধাহত তিনশ' মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এফএফ/এমআই/১১১৮ ঘ.