আজারবাইজানের এই ভূখণ্ডটির চারদিক ঘিরে আছে আর্মেনিয়া, ইরান ও তুরস্ক।
Published : 16 Jan 2024, 04:10 PM
আজারবাইজান নাগোরনো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানকার বাসিন্দা জাতিগত আর্মেনীয়রা দলে দলে প্রতিবেশী আর্মেনিয়ার চলে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়না যাচ্ছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
সোমবার এক দিনের সফরে আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত ছিটমহল নাখচাইভানে যাচ্ছেন এরদোয়ান। আজারবাইজানের এই ভূখণ্ডটির চারদিক ঘিরে আছে আর্মেনিয়া, ইরান ও তুরস্ক। সফরে কারাবাখের পরিস্থিতি নিয়ে আলিয়েভের সঙ্গে এরদোয়ান আলোচনা করবেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত। কিন্তু এর আগে অঞ্চলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ২৪ ঘণ্টার এক অভিযানে নাগোরনো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতিগত আর্মেনীয় যোদ্ধাদের পরাজিত করে।
নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় নেতারা জানিয়েছেন, সেখানকার এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় আজারবাইজানের অধীনে থাকতে চান না। ‘নিপীড়ন ও জাতিগত নিধনের আশঙ্কায়’ তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন।
সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার আর্মেনীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ৩০ বছরের মধ্যে দুইবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। শেষবার ২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে আজারবাইজান নাগোরনো-কারাবাখের ভেতরে ও আশপাশে আগের যুদ্ধে হারানো অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছিল।
২০২০ সালের যুদ্ধে এরদোয়ান আজারবাইজানকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। তবে গত সপ্তাহে চালানো সামরিক অভিযানে আজারবাইজানের লক্ষ্যের প্রতি তিনি সমর্থন জানালেও এতে কোনো ভূমিকা রাখেননি।
আর্মেনিয়া বলেছে, আজারবাইজানের এই সামরিক অভিযানে ২০০ জন নিহত ও ৪০০ জন আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও আর্মেনিয়ার অন্য পশ্চিমা মিত্ররা আজারবাইজানের এই সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছে।
নাগোরনো-কারাবাখকে আজারবাইজানের অংশ করে নেওয়ার পর জাতিগত আর্মেনীয়দের সব অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাকু, কিন্তু আর্মেনয়ীরা তা বিশ্বাস করছে না। তারা মানবাধিকার ও নিরাপত্তা তদারকির জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)