শিশুরা সেখানে আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার চাপে চিড়েচ্যাপ্টা। তাদের জীবনে আনন্দ নিয়ে এসেছে জাতিসংঘের সামার ক্যাম্প।
Published : 17 Jul 2023, 12:07 AM
ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলের ছোট্ট ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা। অর্থনৈতিক অবরোধ আর ইসরায়েলের সঙ্গে নিত্যদিনের সংঘাত সেখানকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
শিশুরা সেখানে আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার চাপে চিড়েচ্যাপ্টা। তাদের জীবনে আনন্দ নিয়ে এসেছে জাতিসংঘের সামার ক্যাম্প।
চার সপ্তাহেরও বেশি সময়ের এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শিশু। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী শিশুরাও আছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক গবেষণায় গাজার ৩৮ শতাংশ শিশুর মধ্যে মানসিক বৈকল্যের লক্ষণ দেখা দেওয়ার চিত্র উঠে এসেছে।
এ অবস্থায় শিশুদের মানসিক বিষাদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার অংশ হিসেবেই নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ।
শিশুরা সামার ক্যাম্পে দিনভর খেলাধূলা, ছবি আঁকা, বিভিন্ন হাতের কাজ, ভাষা শেখা এবং গাছ লাগানোর মতো নিরেট আনন্দের কাজগুলো করছে।
সবচেয়ে ভাল দিকটি হচ্ছে, শিশুরা সব ভুলে এখানে কেবল শিশু হিসেবে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছে। এমনটাই বললেন, গাজায় শরণার্থী শিশুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট।
গাজায় জাতিসংঘের এই সংস্থার পরিচালিত ২৪৮টি স্কুলে দুই লাখ ৯০ হাজার শিশু লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। আর এখন তাদের সামার ক্যাম্পের এই আয়োজনে গাজার প্রায় ৩ হাজার তরুণ স্বল্পমেয়াদে কাজেরও সুযোগ পাচ্ছে।