টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ জেলেনস্কি

কৌতুক অভিনেতা থেকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া ভলোদিমির জেলেনস্কির সাহস ও দেশপ্রেম বিশ্বের দরবারে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে।

দেশের সাধারণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক আক্রমণ প্রতিহত করার সাহস দেখিয়ে বিশ্বব্যাপী দারুণ প্রশংসিত ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবছর টাইম ম্যাগাজিনের ‘বর্ষ সেরা ব্যক্তিত্ব’ নির্বাচিত হয়েছেন।

বৈশ্বিক ঘটনাবলীর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলা ব্যক্তি, গোষ্ঠী, বস্তু কিংবা কোনও পরিকল্পনাকে প্রতিবছর টাইম বর্ষসেরা ঘোষণা করে। বুধবার ২০২২ সালের সেরা ব্যক্তিত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যখন ইউক্রেইন আক্রমণ করে দেশটির উপর ‍বোমাবর্ষণ শুরু করে তখন আন্তর্জাতিক মহল থেকে জেলেনস্কিকে তার পরিবারসহ নিরাপদ করিডোর দিয়ে দেশত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দেশের চরম বিপদে জনগণের পাশে থাকতে তিনি কিইভ থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কৌতুক অভিনেতা থেকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া জেলেনস্কির এই সাহস ও দেশপ্রেম বিশ্বের দরবারে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে।

তিনি নিয়মিত দেশবাসীকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে নানা অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য ভিডিও করে আপলোড দেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়িয়ে যুদ্ধরত সেনাবাহিনী ও সাধারণ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে আসছেন বলে টাইম ম্যাগাজিনে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার জেলেনস্কি পূর্ব ইউক্রেইনের যে অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে সেখানকার খুব কাছে দেশটির একটি সেনাঘাঁটিতে যান এবং সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

৪৪ বছর বয়সের এই নেতাকে স্বীকৃতি দিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে লেখা হয়, ‘‘যুদ্ধকালীন নেতা হিসাবে জেলেনস্কির সাফল্য এই সত্যেকে প্রমাণ করেছে যে সাহস সংক্রামক। রুশ আক্রমণের প্রথম দিনগুলিতে এটি ইউক্রেইনের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তারা এটা অনুভব করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট তাদের আশেপাশেই আছেন।”

এর আগের বছর গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক টাইম ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হন।

২০২০ সালে ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে বেছে নেয় সাময়িকীটি।

‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ১৯২৭ সালে টাইম এ পুরস্কার শুরু করে, যা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বছরে খারাপের বিরুদ্ধে সর্বোৎকৃষ্ট কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মানে ভূষিত করে টাইম ম্যাগাজিন।