মার্কিন সেনেটের জর্জিয়া আসনের রান-অফ ভোটে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়েছে।
মঙ্গলবারের ভোটের এই ফলাফলে সেনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৫১টি নিয়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করল ডেমোক্র্যাটরা, আর ৪৯টি নিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ল রিপাবলিকানরা।
বিজয়ী ব্যাপটিস্ট যাজক ওয়ারনকের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক আমেরিকান ফুটবল তারকা হার্শেল ওয়াকারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।
প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর প্রদর্শিত ফলাফলে দেখা গেছে ওয়ারনক অল্প ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এডিসন রিসার্চের ভাষ্য অনুযায়ী, ওয়ারনক পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট আর ওয়াকার ৮৯ দশমিক ২ শতাংশ। এখন ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
জয়ের পর এক আবেগঘন ভাষণে ওয়ারনক খোদা, জর্জিয়ানদের ও তার পরিবারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, “জনগণ কথা বলেছে।”
অপরদিকে পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে ওয়াকার বলেছেন, “আমি এখন কোনো অজুহাত দিতে যাচ্ছি না, কারণ আমাদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।”
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়ারনককে ফোন দিয়ে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এই ফল জর্জিয়াকে একটি ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে যেটি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিশ্চিতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রিপাবলিকানদের সাবেক এই শক্তঘাঁটিতে গত দুই বছরে ডেমোক্র্যাটরা সেনেটের তিনটি নির্বাচনে জয় পেল।
ওয়াকারের এই পরাজয় ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী ডনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি বিপর্যয়। সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলতি বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ওয়াকারের পাশাপাশি আরও বহু হাই প্রোফাইল রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, কিন্তু সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোতে তার সমর্থিত প্রার্থীরা মিশ্র ফল করেছেন।
৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে জর্জিয়ার সেনেট আসনে ওয়ারনক বা ওয়াকার, কেউই সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান-অফে গড়িয়েছিল।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ হাতছাড়া হলেও সেনেটের নিয়ন্ত্রণ হাতে আসায় ডেমোক্র্যাটরা এখন উদারপন্থি বিচারকদের বিচার বিভাগের আজীবনের আসনগুলোতে নিয়োগ দিতে পারবে। পাশাপাশি বাইডেনের মনোনীতদের প্রশাসনিক পদগুলোতে বসানোও কিছুটা সহজ হবে।
কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবলিকানদের হাতে যাওয়ায় বহু ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটরা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কঠিন বাধার মুখে পড়বে।