জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

সামরিক বাহিনীর বার্ষিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এক বিরল ভাষণে এ অঙ্গীকার করেন মিয়ানমারের জান্তা সরকার প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লায়িং।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2023, 02:20 PM
Updated : 27 March 2023, 02:20 PM

যে কোনও মূল্যে জান্তা সরকারের বিরোধিতা করে আসা সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মিয়ানমারের জান্তা ও সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

রাজধানী নেপিদোয় সামরিক বাহিনীর বার্ষিক সশস্ত্র কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এক বিরল ভাষণে এ অঙ্গীকার করেন তিনি।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালে পুনরায় মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর লড়াই চলছে। যে যুদ্ধ হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।

দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এবং আসিয়ান জোট থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপর নানা রকম চাপ সৃষ্টি করা হলেও তাদের নত হওয়ার কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত নেই।

বরং বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তার সরকার এগুলো কঠোরভাবে দমন করবে।

যেসব দেশ সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বলে বর্ণনা করে তিনি আরও বলেন, ‘‘তারা ভুল করছে এবং গণতন্ত্রের নিজস্ব রূপ গঠনে তাদের উচিত সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নেওয়া।”

বিবিসি জানায়, সোমবার খোলা জিপে করে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন মিন অং হ্লাইং।

১৯৪৫ সালের ২৭ মার্চ জাপানি দখদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে বার্মিজ (বার্মার বর্তমান নাম মিয়ানমার) সেনাবাহিনী। ওই ঘটনার সম্মানে প্রতি বছর ২৭ মার্চ মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়। যেটি প্রতিরোধ দিবস নামেও পরিচিত।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের গত কয়েকটি বড় আয়োজন ছাড়া মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা বা কথা বলতে শোনা যায় না।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের বক্তৃতায় জান্তা প্রধান মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে বিভক্তির জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং জাপানি ফ্যাসিবাদকে দোষারোপ করে বলেন, ‘‘এসব কারণে গত ৭৫ বছর ধরে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী বার বার দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে।”

অং সান সু চি এবং তার দল ২০২০ সালের নভেম্বরে জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচনে জিতেছিল বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি।