ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল পাকিস্তান

দুবাইয়ের টিভি চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই আলোচনার প্রস্তাব দেন।

রয়টার্স
Published : 17 Jan 2023, 12:24 PM
Updated : 17 Jan 2023, 12:24 PM

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিতর্কিত কাশ্মীরসহ অমীমাংসিত সব বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

দু’পক্ষের এই আলোচনার পথ সুগম করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন শরিফ।

দুবাইয়ের টিভি চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই আলোচনার প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, “ভারতের নেতৃবৃন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আমার বার্তা হল, আসুন আমরা টেবিলে বসে কাশ্মীরের মতো আমাদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য গুরুত্ব সহকারে আন্তরিক আলোচনা করি।”

সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচার করা হয়। শাহবাজ বলেন, সম্প্রতি আমিরাতে সফরকালে তিনি বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

শাহবাজ বলেন, “তিনি (বিন জায়েদ) পাকিস্তানের ভাই। ভারতের সঙ্গেও তার ভাল সম্পর্ক আছে। ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে তিনি (বিন জায়েদ) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।”

পাক প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের ব্যাপারে মন্তব্যর জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্স ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিক কোনও সাড়া মেলেনি।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ও পাকিস্তান তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। এর মধ্যে দুইবারই যুদ্ধ হয়েছে কাশ্মীর নিয়ে। ২০১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তান পুরোদস্তুর যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।

ওই বছরে ভারত একতরফাভাবে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে নিলে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যায়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একে প্রকাশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছিলেন।

তখন থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরকারি আলোচনা বন্ধ আছে। যদিও তলে তলে আলোচনা শুরুর কিছু কূটনৈতিক তৎপরতাও চলেছে। ২০২১ সালে আরব আমিরাত একবার আলোচনা চালুর উদ্যোগ নেয়।

শাহবাজ বলেন, দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধ দুর্দশা, দারিদ্র এবং বেকারত্ব ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনেনি।

 “আমরা আমাদের জনগণের জন্য দারিদ্র্য দূর করা, সমৃদ্ধি অর্জন করা, শিক্ষার ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়া এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। আমাদের সম্পদ বোমা কিংবা গোলাবারুদ তৈরিতে কাজে লাগাতে চাই না। এ বার্তাই আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিতে চাই,” বলেন তিনি।