সম্প্রতি কয়েকদিনে বুরেইজি, নুসেইরাত, মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
Published : 27 Dec 2023, 07:57 PM
গাজার কেন্দ্রস্থলে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্থল হামলার আওতা বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালানোর অঙ্গীকার করার পর সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সম্প্রতি কয়েকদিনে বুরেইজি, নুসেইরাত, মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘ এই মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
খান ইউনিস নগরীতে দক্ষিণের অঞ্চলেও প্রচণ্ড লড়াই চলছে। গাজায় যা চলছে তাকে বিনাশী যুদ্ধের চেয়েও বেশিকিছু বলে অভিহিত করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘন্টায় গোটা ভূখন্ডে অন্তত ১৯৫ জন নিহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ১১ সপ্তাহের লড়াইয়ে ২১ হাজার ১শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধের দুই মাস পেরিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম স্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গাজায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজার মধ্যবর্তী এলাকায় বিশেষ করে বুরেজি, মাঘাজি এবং নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে প্রচণ্ড বোমা হামলা চলার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হামাস-সংশ্লিষ্ট সাফা বার্তা সংস্থা খবরে বলেছে, মাঘাজি শিবিরে একটি গার্লস স্কুলে হামলায় পাঁচ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের বাহিনী সেন্ট্রাল ক্যাম্পস এলাকায় যুদ্ধ সম্প্রসারণ করেছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছে, বুরেইজি এলাকার উত্তর-পূর্বে এবং জুহর আল-দিক গ্রামের কাছে প্রচণ্ড লড়াই চলছে।
আইডিএফ’ও মঙ্গলবার বলেছে, বুরেইজি এবং নুসেইরাত শিবিরসহ গাজা-ইসরায়েলের পরিসীমা থেকে চলে যাওয়া এক ডজনের বেশি এলাকা থেকে তারা অধিবাসীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, যুদ্ধের আগে গাজার এই অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ বাস করত। সেখানে এখন ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৬১ হাজার মানুষ থাকছে। তারা বেশিরভাগই উত্তর গাজা থেকে এসেছে।