তাইওয়ান সাবেক ২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে চীনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বৈঠক আয়োজন করে জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
ওই দুই কর্মকর্তার একজন ছিলেন এমপি এবং অপরজন ছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল।
তাদের আয়োজিত বৈঠকের ফলে চীন তাইওয়ানের সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা এমনকী তাদেরকে নিজেদের নেটওয়ার্কে নিয়োগ করারও এখতিয়ার পেয়েছিল।
কৌসুলিরা বলছেন, ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চীনা মূল ভূখন্ডে সাবেক ৪৮ কর্মকর্তার জন্য ১৩ টি ফ্রি ট্যুরের ব্যবস্থা করেছিলেন।
অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল সিয়া ফু-সিয়াং এবং সাবেক এমপি লো চি-মিং দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ৫ বছরের জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে; সে হিসেবে, তাইওয়ান চীনেরই অংশ এবং চীন এই দ্বীপদেশটিকে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের অনেক নাগরিকই স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হোক বা না হোক তাদের স্বশাসিত দ্বীপটিকে পৃথক দেশ মনে করেন।
১৯৪৯ সালে চীনে গৃহযুদ্ধ শেষের পর থেকেই বেইজিং এবং তাইপে একে অপরের ওপর গুপ্তচরগিরি করে আসছে।
কৌসুলিরা বলছেন, সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা সিয়া এবং লো ২০১৩ সাল থেকেই চীনের একত্রীকরণ নিয়ে সোচ্চার সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জানুয়ারি থেকে তাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে।
তবে সিয়া এবং লো চীনের জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এমন কোনও প্রমাণ না থাকায় তাদেরকে সাক্ষী হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান কৌসুলিরা।