মে দিবসে ফ্রান্সজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
দেশের বিভিন্ন শহর এবং নগরজুড়ে সোমবার মে দিবসের মিছিলে ১০ লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভে নামবে বলে ধারণা করছে বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বিরোধীদলগুলো।
ফ্রান্সের একটি কট্টর-বাম দলের পার্লামেন্ট সদস্য রোববার জানান, তিনি ফ্রান্সের সব নারী এবং পুরুষকে রাজধানী প্যারিসের রাস্তায় বেরিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
গত কয়েক মাস ধরেই ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ফ্রান্সজুড়ে। তার জনপ্রিয়তাও নেমে এসেছে রেকর্ড পরিমাণ নিচে। বিক্ষোভ উস্কে দিয়েছে ম্যাক্রোঁর বিতর্কিত পেনশন সংস্কার বিল, যেটি গত ১৫ এপ্রিলে সাংবিধানিক পরিষদের সবুজ সংকেতও পেয়েছে।
ম্যাক্রোঁ পেনশন পাওয়ার বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করতে বদ্ধপরিকর। অবসর নেওয়ার ন্যূনতম বয়স সরকার বাড়াতে চাওয়ার কারণেই মূলত ফ্রান্সে এই পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে মানুষ।
ফ্রান্সে জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষই সংস্কার পরিকল্পনার বিরোধী এবং সরকার পার্লামেন্টে ভোটকে পাশ কাটিয়ে এই বিল পাসের যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটিরও বিপক্ষে বেশিরভাগ মানুষ।
কট্টর-বাম সিজিটি ইউনিয়নের নেতা বলেন, “এই পহেলা মে হবে এক মাইলফলক। এই দিবস বলে দেবে যে, এই পেনশন সংস্কার তুলে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা নড়ব না।”
ফ্রান্সের সরকার বলছে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধসে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে এ সংস্কার প্রয়োজন। রাজকোষে যাতে আরও অর্থ আসে সে ব্যবস্থা করতেই প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ পেনশন পাওয়ার বয়স দু’বছর বাড়াতে চেয়েছেন।
এ ব্যবস্থা না নিলে আর্থিক পরিস্থিতি এবং ঘাটতি সামলানো যাবে না বলেই ভাষ্য সরকারের।