নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের মধ্যে গত সপ্তাহে সেটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান।
Published : 14 Jan 2024, 09:42 AM
পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ নিয়ে একে অপরকে দুষছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। জাতিগত নিধনের আশঙ্কায় ওই অঞ্চলের নাগোরনো-কারাবাখ থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে জাতিগত আর্মেনীয়রা।
যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ মঙ্গলবার টেলিগ্রাম অ্যাপে বলেন, “ওয়াশিংটনকে চরম বিপজ্জনক কথাবার্তা ও কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই, যাতে কৃত্রিমভাবে আর্মেনিয়ায় রুশবিরোধী মনোভাব না বেড়ে যায়।”
নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের মধ্যে গত সপ্তাহে সেটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান। তাদের ওই অভিযান ঠেকাতে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে মস্কোকে দুষছে আর্মেনিয়া।
সেই প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার বলেন, রাশিয়া আর্মেনিয়ার ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা অংশীদার নয়’। আর তার এমন বক্তব্যের জবাবেই ওয়াশিংটনকে কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার আহ্বান জানালেন রুশ রাষ্ট্রদূত।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আর্মেনিয়া নিরাপত্তা অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে আসছিল। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণ করলে আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়।
ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি রাশিয়া দেখিয়েছে যে, তারা নির্ভরযোগ্য কোনো নিরাপত্তা অংশীদার নয়, যার ওপর নির্ভর করা যায়।”
দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের পাহাড়ি এই ভূখণ্ড নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ আর্মেনীয় এবং তিন দশক ধরে জাতিগত আর্মেনীয়রা ওই ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণে করে আসছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী নাগোর্নো-কারাবাখে বড় ধরনের অভিযান চালায়। তাতে ১০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ প্রায় দুইশ আর্মেনীয় নিহত হন। রুশ মধ্যস্থতায় আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্রসমর্পণের মাধ্যমে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের দখল পায়।
এখনো সেখানে সড়কগুলোতে ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছেন আজারবাইজানের সেনা সদস্যরা। এই অবস্থার মধ্যে জাতিগত নিধনের শঙ্কায় সেখান থেকে পালাচ্ছে জাতিগতভাবে আর্মেনীয়রা। সংবাদসূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)