চীনের হেনানে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কোভিড আক্রান্ত

হেনান প্রদেশের একজন কর্মকর্তা এক সংবাদ সম্মেলনে এ হিসাব দিয়েছেন, যা সংখ্যায় প্রায় আট কোটি ৮৫ লাখ মানুষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2023, 02:01 PM
Updated : 9 Jan 2023, 02:01 PM

চীনের তৃতীয় জনবহুল প্রদেশ হেনানের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাদেশিক কর্মকর্তা কান কুয়ানচং এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বলেন, সংখ্যায় যা প্রায় আট কোটি ৮৫ লাখ মানুষ।

কোভিড মহামারী শুরুর পর চীনে প্রায় তিন বছর ধরে কঠোর লকডাউন, বাধ্যতামূলক কোয়েন্টিন এবং গণপরীক্ষার বিরুদ্ধে গত বছরের শেষ দিকে গণবিক্ষোভ শুরু হলে ডিসেম্বরে দেশটির সরকার তাদের ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

তারপর থেকে সেখানে এক এক করে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আরোপ করা বেশিরভাগ বিধিনিষেধই তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন জনসম্মুখে মাস্ক পরাসহ একেবারে সাধারণ কিছু কোভিড নির্দেশনা জারি আছে।

কোভিড বিধি শিথিল করার পর থেকেই চীনে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করে। যদিও সরকার থেকে দেওয়া পরিসংখ্যানে তার উল্টো চিত্র পাওয়া যাচ্ছিল।

কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলছিলেন, সরকারি হিসাবে সংক্রমণের যে চিত্র উঠে আসছে সেটি চীনের প্রকৃত অবস্থা নয়। বরং সেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে।

গত ২৪ ডিসেম্বরের পর চীন সরকার সেদেশে কোভিডে দৈনিক শনাক্ত নিয়ে তথ্য দেওয়া বন্ধ করে।

হেনান প্রদেশে ডিসেম্বর থেকে নাকি তার আগে থেকে এত মানুষ কোভিড আক্রান্ত হতে শুরু করেছে সে বিষয়ে প্রাদেশিক কর্মকর্তা কান সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।

তবে একথা ঠিক, ‘জিরো-কোভিড’ নীতির মাধ্যমে চীন সরকার সংক্রমণের গতি ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিল। হয়ত গত কয়েক সপ্তাহেই হেনান প্রদেশে এত মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।

কান বলেন, “হেনান প্রদেশে জ্বর আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্লিনিকে এসেছিলেন। তারপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমেছে।”

হেনানের প্রাদেশিক এই পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া কোভিড পরিসংখ্যানের সম্পূর্ণ বিপরীত।

চীন সরকারের তথ্য মতে, ‘জিরো কোভিড’ নীতি তুলে নেওয়ার পর ১৪০ কোটি মানুষের দেশ চীনে মাত্র এক লাখ ২০ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গেছেন মাত্র ৩০ জন।

তার মধ্যে রোববার মারা গেছেন তিনজন। তার আগের দিন চারজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়।

সরকারি পরিসংখ্যানে সংক্রমণ এবং মৃত্যু এত কম দেখানোর কারণ গণহারে কোভিড পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়া বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।